চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিপু চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গুলির অভিযোগে মামলা : পুলিশ প্রহরায় জিলকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন : আজিজুলও আসামি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় জিল্লুর রহমান জিলকারকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাকে পুলিশ প্রহরায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। অপরদিকে জিলকারের স্ত্রী লাভলী খাতুন লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, জিলকারকে ধরে নির্যাতন করে শেখানো কথা সাংবাদিকদের সামনে বলতে বাধ্য করা হয়েছে। এদিকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়কের গাড়িবহরে হামলা ও গুলির প্রতিবাদে আলমডাঙ্গা যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেছেন, যুবলীগে অশান্তির আগুন নেই, যুবলীগ নেতা সেজে এক সময়ের মৈত্রী নেতা এখন যুবলীগের ওপর আঘাত হানতে চাচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে যখন কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করছে, তখন একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে ডিঙ্গেদহ যুবলীগ নেতা তোরাপের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। ভস্মীভূত বাড়ি দেখে ফেরার পথে বিজিবি ক্যাম্পের ৩নং গেটের নিকট জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক জিপু চৌধুরীর ওপর হামলা চালানো হয়। গুলি করা হয়। হাতেনাতে ধরা পড়ে শ্রীকোল বোয়ালিয়ার মৃত জমির উদ্দীনের ছেলে জিল্লুর রহমান জিলকার। সে কার চক্রান্তে, কার সাথে হামলা চালিয়েছে তা স্বীকার করেছে। তাকে পুলিশে দেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ বলেছে, ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপুকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের বিষয়ে মামলা হয়েছে। যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ বাদী হয়ে জিল্লুর রহমান জিলকার ও ডিঙ্গেদহের মানিকদিহি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে জিলকারকে। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলার তদন্ত করছেন এসআই আবুল খায়ের।

এদিকে জিলকারের স্ত্রী লাভলী খাতুন লিখিতভাবে এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেছেন, আমার স্বামী জিলকার ব্যবসায়ী কাজে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে যাচ্ছিলো। যুবলীগ নেতা জিপু চৌধুরীর গাড়িবহরে হামলা ও গুলিবর্ষণে আমার স্বামীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আমার প্রশ্ন, জনসম্মুখে যেখানে গুলিবর্ষণের কথা বলা হয়েছে সেখানে বিজিবি থাকে, ওখানে কি ওইভাবে কাউকে কেউ গুলি করতে পারে? জিপু চৌধুরীর গাড়িবহর দেখে রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়ার সময় জিপুর লোকজন ক্যাডাররা জিলকারকে ধরে অস্ত্রের মুখে নিয়ে যায় একটি বাড়ির ছাদে। সেখানে নিয়ে নির্যাতন করে। শেখানো কথা সাংবাদিকদের সামনে বলতে বাধ্য করে। রাত দেড়টার দিকে পুলিশের হাতে দেয়া হয় তাকে। আমি প্রশাসনসহ গণমাধ্যমকে ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধান করে সঠিক চিত্র তুলে ধরার অনুরোধ জানিয়ে জিলকারকে মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।