চুয়াডাঙ্গায় তথ্য বাতায়ন, ই-ফাইল, ই-মোবাইল কোর্ট ও ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে কর্মশালা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় তথ্য বাতায়ন, ই-ফাইল, ই-মোবাইল কোর্ট ও ডিজিটাল সেন্টারের কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। প্রশিক্ষক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির ডোমেইন এক্সপার্ট শিরিন শবনম ও সহকারী কমিশনার (আইসিটি) মুসফিকুল আলম হালিম ।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির সহযোগিতায় ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কর্মশালায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম মামুনউজ্জামান, আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ কামরুল হাসান, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাফিজ, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক, ডিআইওয়ান পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হুদাসহ জেলার সরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রধান, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল ও সাংবাদিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩৫ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে বিভিন্ন ধরনের সেবা পাচ্ছে জনগণ। এরমধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদেশে গমনেচ্ছুরা নাম নিবন্ধন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ও বিদ্যুত বিল পরিশোধসহ নানা ধরনের সুবিধা রয়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নাগরিকর আবেদন, দাফতরিক আবেদন, রেকর্ডরুমে নকলের আবেদন, ১৫৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবহার, কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে ২৩, ভূমি অফিসে সেবা, ফেসবুক পেজ ও ওয়েব পোর্টাল ব্যবহার। এ সময় একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

কর্মশালায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, ২০১১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্বোধনের পর তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা চাইনা জনগণ তথ্য পেতে ভোগান্তির মধ্যে পড়ুক। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, ২০৪১ সাল নয় তার আগেই আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো। আমরা আইসিটি সেবাকে জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিতে চায়। সে জন্য কেউ যেনো দালালের খপ্পরে না পড়ে। জনগণ অত্যন্ত নিরীহ ও সরল। সে কারণে বাংলাদেশ সুখি দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিগণিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা ওয়েব পোর্টাল আপডেট করবেন। সাধারণ মানুষ জেলা তথ্য বাতায়ন ভিজিট করে সমৃদ্ধ করবেন।

কর্মশালায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির ডোমেইন এক্সপার্ট শিরিন শবনম বলেন, দেশে ৪২ হাজার অফিসে তথ্য বাতায়ন রয়েছে। ব্যানারে জেলা ও উপজেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য কথা বলে। তাই ব্যানারগুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন, তথ্য এবং ভালো ছবি আপলোড করতে হবে। এ ব্যাপারে ২/১ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা যেতে পারে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে ৩৬ জন নারী উদ্যেক্তা কাজ করেন বিষয়টি ইতিবাচক।