বিদেশী টুকরো খবর

সিরিয়ায় আইএসের গাড়িবহরে হামলায় নিহত ৪০

মাথাভাঙ্গা মনিটর: সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলে সপ্তাহান্তে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের গাড়িবহরে বিমান হামলায় অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছে। একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী গত রোববার এ তথ্য জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনি ও রোববার রাতের বেলায় হামা প্রদেশে ওই বিমান হামলা হয়। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ তথ্য জানায়। অবজারভেটরির ভাষ্য, ১৬টি যানবাহনের ওপর অজ্ঞাত বিমান হামলা চালায়। এতে ওই জিহাদিরা নিহত হয়। হামলায় অংশ নেয়া বিমান রাশিয়া নাকি সিরিয়ার, তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংগঠনটি। তবে ওই বিমান যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটের নয় বলেও বলছে অবজারভেটরি।

 

Bottom of Form

গো-হত্যার জেরে কাশ্মীরে উত্তেজনা : অঘোষিত কারফিউ

মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা উত্তাল হয়ে উঠেছে। গতকাল সোমবার আটটি থানা এলাকা অঘোষিত কারফিউতে রূপ নেয়। পুলিশের সাথে জনতা খণ্ডযুদ্ধে জাড়িয়ে পড়লে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়। বাধাপ্রাপ্ত হয় রেল যোগাযোগও। অশান্তির কারণ জাহিদ আহমেদের মৃত্যু। গো-হত্যার অভিযোগ তুলে জম্মুর উধমপুরে ১০ দিন আগে পেট্রলবোমায় তাকে ঝলসে দেয়া হয়। একাধীক গণমাধ্যম জানিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে নিয়ে আসা হয়েছিলো দিল্লি। গত রোববার তার মৃত্যু হয়। গতকাল সোমবার অনন্ত নাগ জেলার বাটেনগু গ্রামে তাকে দাফন করা হয়। পুলিশি প্রহরায় শোকযাত্রা শান্তিপূর্ণ থাকলেও গোলমাল বাধে পরে। পুলিশ জানিয়েছে, শোকযাত্রায় পাকিস্তানি পতাকা হাতে স্থানীয় যুবকদের দেখা গিয়েছে। পুলিশকে অবশ্য গুলি চালাতে বারণ করা হয়েছিলো। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সাবধানতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপত্যকার বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের গৃহবন্দী করে রাখা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। চলতি মাসের ৯ তারিখে জাহিদদের ট্রাকে পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। ট্রাকটি জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিলো। অভিযোগ, জাহিদেরা নাকি তিনটি গরু হত্যা করেছেন। এ খবর রটে যাওয়ার পরেই আট যুবক ট্রাকটি আক্রমণ করেন। পরে প্রশাসনসূত্রে বলা হয়, খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলেই গরুগুলো মারা গেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শরণার্থী সামলাতে হিমশিম বলকান রাষ্ট্রগুলো

মাথাভাঙ্গা মনিটর: প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক শরণার্থীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে বলকান রাষ্ট্রগুলো। এ রাষ্ট্রগুলোর মধ্য দিয়ে পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা শরণার্থীদের রুটগুলো একে একে বন্ধ হতে থাকায় তাদের মধ্যে উত্তেজনাও বাড়ছে। শরণার্থীর ঢল আটকাতে স্লোভেনিয়া সেদেশে দৈনিক শরণার্থী প্রবেশের সীমা বেধে দেয়ায় গত রোববার ঠান্ডা এবং বৃষ্টির মধ্যে রাত কাটিয়েছে বহু শরণার্থী। এদিন ক্রোয়েশিয়া থেকে স্লোভেনিয়ায় বিপুল সংখ্যক শরণার্থী প্রবেশের পর দেশটি শরণার্থী নেয়ার সংখ্যা সীমিত করে দিয়েছে এবং ক্রোয়েশিয়াকেও সার্বিয়া থেকে শরণার্থীর প্রবেশ কমানোর জন্য চাপ দিচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই ক্রোয়েশিয়ায় আর শরণার্থীদেরকে ঠাঁই দেয়ার জায়গা থাকবে না বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। ক্রোয়েশিয়া প্রতিবেশী দেশ স্লোভেনিয়াকে প্রতিদিন ৫ হাজার করে শরণার্থী নেয়ার অনুরোধ জানালেও দেশটি দৈনিক মাত্র ২ হাজার ৫০০ শরণার্থী নিতে পারবে বলে জানায়। সার্বিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্ত থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র মেলিতা সানজিক বলেন, এ স্রোত অনেকটা বড় নদীর মত। এ স্রোত বন্ধ করলে কোথাও না কোথাও বন্যা হবে। যা এখন হচ্ছে। সার্বিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তে অবনতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আটকা পড়ে আছে প্রায় ২ হাজার শরণার্থী। ক্রোয়েশিয়া-স্লোভেনিয়া সীমান্তেও মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে শরণার্থীরা। খোলা আকাশের নিচে ঠান্ডা আর বৃষ্টির দুর্ভোগের মধ্যে রাত কাটানো শরণার্থীরা সকালে ক্ষুব্ধ হয়ে গেট খুলে দেয়ার জন্য চেঁচামেচি শুরু করে। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া পুলিশ তাদেরকে আটকাতে গতকাল সোমবার বেষ্টনি দিয়ে রাখে।

Leave a comment