স্টাফ রিপোর্টার: চারু ও কারুকলাকে আবশ্যিক বিষয় ঘোষণার তিন বছর পরও জেলার ১৩৭টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। শিক্ষকের অভাবে জেলার প্রায় ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী এ বিষয়ে না শিখেই জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা কার্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ৫০ নম্বরের এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে ১০০ নম্বরের চারু ও কারুকলা বিষয় আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০১৩ সালে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো চারু ও কারুকলা বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২০১৫ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। জেএসসিতে ৫০ নম্বরের মধ্যে ৩৫ নম্বর রচনামূলক অংশে চিত্র আঁকা, নকশা করা ও রঙ করার কাজ আছে। চুয়াডাঙ্গা শহরের দুটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ জেলার চারটি উপজেলার ১৩৭টি মাধ্যমিক ও নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চারু ও কারুকলা বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই। এর মধ্যে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৮টি এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৯টি।
চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর ২৬২ জন জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শফিকুন্নাহার জিনিয়া বলেন, বিদ্যালয়টিতে চারু ও কারুকলা বিষয়ের কোনো শিক্ষক নেই। কবির হোসেন নামের একজন অস্থায়ী শিক্ষক দিয়ে কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা ভি. জে. সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ৩২০ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা বলেন, সাধারণ শিক্ষকেরাই চারু ও কারুকলা বিষয়ে পাঠদান করেন। তারাই সদ্যসমাপ্ত টেস্ট পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেছেন।
মনোয়ারা সুলতানা নামের এক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের বাইরে কোথাও চারু ও কারুকলা বিষয়ের শিক্ষক নেই। সন্তানের ভালো ফলের কথা চিন্তা করে সাইনবোর্ড লেখায় পারদর্শী এক ব্যক্তির কাছে তাকে শেখানো হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামানসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা একই কথা জানান। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে তুলনামূলক অভিজ্ঞ শিক্ষকদের দিয়ে এ বিষয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে। ওই শিক্ষকদের মধ্যে অনেককেই তিন দিনের স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।