আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার আলোচিত তাহেরা হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি বাচ্চুর ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট প্রভাবিত করা হতে পারে এমন আশঙ্কা করেছেন মামলার বাদী তাহেরার পিতা। ফরেনসিক ডিএনএ টেস্ট ল্যাবরেটরিতে পুলিশ পরিচয়ে ২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির অবাধে ঘুরাঘুরি ও অসুবিধা নেই সব ঠিক আছে বলে বাচ্চুকে আশ্বস্ত করার ঘটনায় তিনি এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, আদালতের নির্দেশে গত ১৫ অক্টোবর তাহেরা হত্যা মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি বাচ্চুর ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। মামলার বাদী তাহেরার পিতা শাহজাহান আলী জানান, গত ১৪ অক্টোবর রাতে তাহেরা হত্যা মামলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) মেহেদী রাসেল মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি বাচ্চু ও তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পরদিন অর্থাৎ ১৫ অক্টোবর সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার মালিবাগে অবস্থিত ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি অব বাংলাদেশ পুলিশ (সিআইডিতে) উপস্থিত হন। সেখানে নতুন ভবনের ৩ তলাতে পৌঁছুলে সেখানে আগে থেকেই ২ জন ব্যক্তিকে তিনি অপেক্ষারত অবস্থায় দেখতে পান। তারা বাচ্চুকে দেখে শাহজাহান আলীর সামনেই বলেন, ভয় নেই বাচ্চু। এরপর দুজন দ্রুত হেটে ডাক্তারের রুমে ঢোকেন। কিছু সময় পর ফিরে আবার বাচ্চুর নিকট গিয়ে অসুবিধা নেই সব ঠিক আছে বলে আশ্বস্ত করে। পরে বাচ্চুকে ল্যাবরেটরিতে ডেকে নিলে সেখানেও বাচ্চুর সাথে ওই সন্দেহভাজন ২ জন প্রবেশ করে। পরে ডাক্তার তাদেরকে বাইরে যেতে বললে তারা বাইরে যায়। সে সময় শাহজাহান আলী তাদের ডেকে পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা রাগ করে ওঠে। পরে তাদের একজন জানায়, তারা পুলিশ। এখানেই চাকরি করে। শেষে ল্যাবরেটরি থেকে বাচ্চু বের হয়ে আসলে তারা আবার তার কাচে গিয়ে গায়ে হাত দিয়ে বলে, ভয় নেই বাচ্চু কোনো সমস্যা হবে না। সাড়ে ১০টার দিকে নমুনা সংগ্রহের জন্য বাচ্চু ও শাহজাহান আলীকে ল্যাবরেটরিতে ডেকে নেয়া হয়। বাচ্চুর রক্ত ও বীর্য সংগ্রহ শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার বাচ্চু ও তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অন্য রুমে পাঠিয়ে দিয়ে শাহজাহান আলীকে বলেন, এখানে যেই আসুক, যাই বলুক আপনি চিন্তা করবেন না। সঠিক রিপোর্ট পাবেন।
এদিকে, তার এ আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছেন না মামলার বাদী তাহেরার পিতা শাহজাহান আলী। অর্থের বিনিময় বাচ্চুর ডিএনএ রিপোর্ট কারসাজি হতে পারে এমন আশঙ্কা তার। এ ব্যাপারে তাহেরার হতভাগ্য পিতা সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চেয়েছেন।