দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু : চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন

স্টাফ রিপোর্টার: অপেক্ষার শেষ। এসে গেল দুর্গাপূজা। গতকাল শেষ হয় সব প্রস্তুতি। পূজামণ্ডপে গতকাল মহাপঞ্চমীর সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে দর্শকদের বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েদের আনাগোনা। আজ মহাষষ্ঠী। মণ্ডপে মণ্ডপে উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকের বোলে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করা হবে দেবীদুর্গাকে। ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আর এরই মধ্যদিয়ে দশভুজা এ দেবীর আগমনের প্রহরগুনা শেষ হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায় ভক্তদের। দেশজুড়ে এ উৎসবকে আনন্দমুখর করে তুলতে মণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে নানান সাজে, হরেক কায়দায় বিভিন্ন উপাসনা গৃহের রেপ্লিকায়। এ উৎসবকে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে উদযাপনের লক্ষ্যে মণ্ডপ ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রয়েছে কঠোর অবস্থান। এদিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। গতকাল রোববার রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা বারোয়ারী দুর্গা মন্দির, তালতলা ষষ্ঠীতলা দুর্গা মন্দির, কুলচারা দুর্গা মন্দির, বেলগাছী বারোয়ারী দুর্গা মন্দির, কেদারগঞ্জ মালোপাড়া বারোয়ারী দুর্গা মন্দির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এ সময় পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বলেন, সকলকে দুর্গাপূজা যথাযথ আনন্দ ও পবিত্রতার সাথে উদযাপনের আহ্বান জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয়া হবে বলে জানান। তিনি আরও বলেন, দুর্গাপূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে। পূজামণ্ডপ এলাকায় কোনো প্রকার নিরাপত্তার অভাব থাকবে না। প্রতিটি পূজামণ্ডপ এলাকায় পুলিশ, আনসার সদস্য ও সেচ্চাসেবক বাহিনী কাজ করবে। সবাই যেনো শান্তিপূর্ণভাবে ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে দূর্গোৎসব পালন করতে পারে তার সব ব্যবস্থাই নেয়া হয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ মাঠে দায়িত্বরত থাকবে। যেকোনো ধরনের ঘটনা সাথে সাথে পুলিশকে জানানোর জন্য প্রতিটি পূজামণ্ডপের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম কামনুজ্জামান খান, এসআই মাসনুন আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

সনাতন দিনপঞ্জিকা মতে, আজ সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে ষষ্ঠ্যাদি কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা অনুষ্ঠিত হবে। পরবর্তীতে দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের মূল পর্ব। আগামীকাল মহাসপ্তমী, বুধবার মহাষ্টমী ও বৃহস্পতিবার মহানবমী ও বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় এ উৎসব। এ বছর মর্ত্যলোকে (পৃথিবীতে) দেবীর আগমন ঘটছে ঘোটকে (ঘোড়ায়) চড়ে। আর দেবীর গমন ঘটবে দোলায় চড়ে। যার ফল মড়ক। এতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারীর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। এবার চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৯৫ মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৫টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩১টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ২০ ও জীবননগর উপজেলায় ১৯টি মন্দিরে স্বারদীয় উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে।