জীবননগর ব্যুরো: চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত প্রায় দু শতাধিক দোকান ও স্থাপনা বুলড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। দুপরের পর উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করা হলেও বিকেলে আবারো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এদিকে সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে দু শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ডসহ আশপাশে সওজের জমি দখল করে অবৈধভাবে দু শতাধিক দোকান ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এ সব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য গত বুধবার সওজের পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করে বলা হয় ৩ দিনের ভেতর অবৈধ দোকাট-পাট সরিয়ে নেবার জন্য। ঘোষণা মোতাবেক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ অভিযানে নামে সওজ কর্তৃপক্ষ। সকালে ৮টায় হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়ার মধ্য দিয়ে স্থাপনা উচ্ছেদ কর্যক্রম শুরু হয়। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হাফিজের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা বুলড্রেজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। উচ্ছেদ কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালিয়ে জীবনযাপন করতেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগের উচ্ছেদ কর্যক্রমে তারা আর্থিকভাবেন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তারা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুণর্বাসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চেয়েছেন। উচ্ছেদ অভিযানে জীবননগর উপজেলা চেয়াম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, সওজের চুয়াডাঙ্গা নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ, উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম ও থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর এ সময় উপস্থিত ছিলেন।