স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদী গ্রামে ষষ্ঠী পূজাতলা বেদখলকে কেন্দ্র করে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি তারা বাপ-দাদার আমল থেকে এই স্থানে পূজা করে আসছে। অথচ মুসলিম দুটি পরিবার তাদের পূজা করার স্থান দখল করে নিয়েছে। অভিযুক্ত মুসলিম পরিবারের লোকজন বলছে, স্থানটি তাদের নিজস্ব।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদী গ্রামের ষষ্ঠীতলা নামে পরিচিত স্থানের খাস জমিতে একটি বটগাছ ছিলো। বছর দুয়েক আগে বটগাছটি উপড়ে যায়। পার্শ্ববর্তী হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্ত লোকজনদের দাবি, এরপর তারা একটি চারা বটগাছ লাগিয়েছিলো। কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের কয়েকজন সেটা উপড়ে ফেলে দিয়েছে। অভিযুক্ত আনছার আলী অস্বীকার করে বলেন, বটগাছের স্থানটি তাদের নিজস্ব। তাছাড়া তারা রাস্তার জমিও সাধারণের চলাচলের জন্য দান করেছেন বলে জানান। তিনি বলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনই খাস জমির অধিকাংশ দখল করে আছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভোগাইলবগাদীর এই ষষ্ঠী পূজাতলা নিয়ে মুসলিম ও হিন্দুদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার বিকেলে সেখানে সরেজমিনে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবেন্দ্র নাথ দোবে বাবুলাল। তিনি সেখানকার দু পক্ষের বক্তব্য শোনেন এবং কিভাবে শান্তির উপায় বের করা যায়, তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করেন। যাতে মুসলিম-হিন্দু উভয়ই শান্তিতে পাশাপাশি বসবাস করতে পারে এজন্য উভয় পক্ষকে তিনি ধৈর্য ধারণ করতে বলেন। প্রয়োজনে তিনি উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।