ঝিনাইদহের ডাকবাংলায় ক্লিনিকে প্রসূতির মৃত্যু রোগীর স্বজনদের হামলা : দু পুলিশ আহত

MEDION Digital Camera

ডাকবাংলা প্রতিনিধি: ঝিনাইদহে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আ. লীগ নেতার ক্লিনিক ভাঙচুর করেছে রোগীর স্বজনরা। এ সময় ভাঙচুর থামাতে গেলে দু পুলিশ  আহত হন। আ. লীগ নেতার নিউ ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালে চামেলি খাতুন নামে এক প্রসূতি মারা যান। এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালের মালিক সাগান্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুন্সি শাহিন রেজা সাঈদ পলাতক রয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার নারায়ণপুর ত্রীমোহনী নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকবাংলা পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বদিউর রহমান জানান, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আলী আহম্মদের স্ত্রী চামেলী খাতুনকে (৩২) গত ২৭ সেপ্টেম্বর দশমাইল বাজারে মুন্সি শাহিন রেজা সাঈদের প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার করা হয়। রাজশাহী এলাকার এক হেলথ কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন চামেলির অপারেশন করেন। চিকিৎসকের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে। সিজার করার সময় ডাক্তার তার নাড়ি কেটে ফেলেন বলে স্বজনদের অভিযোগ করেন। সিজার করার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চামেলিকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি আরো জানান, মৃত্যুর খবর নারায়ণপুর গ্রামে পৌঁছুলে রোগীর স্বজনরা ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতালে হামলা চালায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপের ফলে ক্লিনিকের জানালা-দরজার গ্লাস ভেংঙে যায়। আতঙ্কিত হয়ে অন্য রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। খবর পেয়ে ডাকবাংলা পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে পুলিশের এসআই বদিউর রহমান ও এএসআই সাব্বির হোসেন আহত হন। অপারেশনের ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অপারেশন ভুল ছিলো না। অপারেশনের পর রোগীর স্বজনরা বাড়ি নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াই কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করান। এতে রোগীর পেটে পুজ জন্মে আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ কারণেই রোগীর মৃত্যু ঘটেছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম জানান, তিনি ঘটনা শুনেছেন। প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মুন্সি শাহিন রেজা সাঈদ জানান, চিকিৎসায় কোনো ভুল ছিলো না। রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি গিয়েছিলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার ক্লিনিক বন্ধ করে দিক তাতে আমার দুঃখ নেই। কিন্তু ঘটনা ঘটলো যে হাসপাতালে সেখানে কিছু না করে যে হাসপাতালে রোগীর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই সেখানে ভাঙচুর করাটা অমানবিক। এদিকে মৃত চামেলির স্বামী এর সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন।

Leave a comment