কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: প্রাইভেটকার ছিনতায়ের জন্যই যাত্রীবেশী খুনিরা পরিকল্পিতভাবে খুন করে প্রাইভেটকার চালক ইয়াকুব আলীকে। আর এ খুনের পরিকল্পনা হয় ঢাকা থেকে কোটচাঁদপুর আসার পথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরির ওপর। চালক ইয়াকুব আলী হত্যার সাড়ে তিন মাস পর পুলিশ এ হত্যার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার করেছে। ধৃত আসামিরা গত বুধবার বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় হত্যার বর্ণনা দেয়। তবে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী এড়ান্দা গ্রামের আ. রশীদের ছেলে সোহেল (২০) এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। ম্যাজিস্ট্রেটকে দেয়া জবানবন্দিতে ধৃত আসামিরা জানায়, গত ১৬ জুলাই ঢাকা থেকে কোটচাঁদপুর আসার জন্য সোহেল এক অজ্ঞাত মহিলাসহ শাদা প্রাইভেটকার ভাড়া করে। রাতে প্রাইভেটকারটি ফেরির ওপর উঠলে সোহেল এড়ান্দা গ্রামের আ. আজিজের ছেলে খবিরকে (২২) মোবাইলে কারচালককে হত্যা করে কার ছিনতাইয়ের পরিকল্পনার কথা জানায়। পরিকল্পনা মতো কারটি ভোরে এড়ান্দা গ্রামে এসে পৌঁছুলে সেখানে আগে থেকে অপেক্ষমাণ আসামি রনি (২০) ও চান মিয়াসহ (২০) সোহেল এবং সোহেলের সাথে ঢাকা থেকে আসা অজ্ঞাত মহিলা একত্রিত হয়। এরপর পূর্ব পরিকল্পনা মতো আসামিরা কারচালক ইয়াকুব আলীকে (২৪) গলায় দড়ির ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর লাশ বস্তায় ভরে ১২টি ইট বেঁধে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে লাশ গুম করে। নিহত কারচালক ইয়াকুব আলী মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুরের খান শামছুল ইসলাম পাঠানের ছেলে।