হরিণাকুণ্ডুতে শিশু হত্যা : দাফনের ১৬ দিন পর লাশ উত্তোলন

হরিণাকুণ্ডু প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে মৃত্যুর ১৬ দিন পর গতকাল বুধবার সকালে মারফত আলী নামে ৩৮ দিন বয়সী এক শিশুর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের আদেশে হরিণাকুণ্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল কবিরের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।

শিশু মারফত আলীর মা যুথি খাতুন বাদী হয়ে বাবা মাসুদ আলী খিলা, দাদা ওমর আলী, চাচা রনি, রানা ও ফুফু রেহানা খাতুনের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল কবির জানান, ২৯ সেপ্টেম্বর শিশু মারফত আলীকে হত্যা করা হয় বলে তার মা যুথি খাতুন ১ অক্টোবর ঝিনাইদহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। তিনি আরো জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হরিণাকুণ্ডু থানাকে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিলে গত ১১ অক্টোবর হরিণাকুণ্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়। ওসি জানান, হত্যা মামলা রেকর্ডের পর শিশু মারফত আলীর লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়। আদালতের অনুমতি পেয়ে বুধবার বেলা ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তালন করা হয়। মামলার আসামিরা অভিযোগ করেন, জ্বর ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে একটি স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে দেখিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রামবাসী জানিয়েছে, শিশু মারফত আলীর মৃত্যুর পর তার পিতা-মাতার মধ্যে বনিবনা হচ্ছে না। এ কারণে এ মামলা করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা। অন্যদিকে মামলার বাদী যুথি খাতুন অভিযোগ করেন- তার স্বামী, শ্বশুর, দু দেবর ও ননদ ষড়যন্ত্র করে তার ৩৮ দিন বয়সী শিশুকে হত্যা করেছে।

 

Leave a comment