মন্ত্রিসভা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের পাঁচটি স্তরে দলীয়ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সংশোধিত আইনে সম্মতি দিয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় ভিত্তিতে মনোনয়ন দিতে এবং দলীয় প্রতীকে মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী অংশ নিতে পারবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। তবে কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের সুযোগ থাকবে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা না গেলে মেয়াদোত্তীর্ণের পর দিন থেকেই সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের সংশোধিত আইনটি মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদন করলেও এর মধ্যে পৌরসভাসংক্রান্ত আইনটি অচিরেই অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা থাকায় এবং এ সময়ের মধ্যে সংসদ অধিবেশন না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন এ দেশে শুরু থেকেই নির্দলীয় ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত স্বভাবতই নানা প্রশ্নের অবতারণা ঘটতে পারে। তবে ব্রিটেন, ভারতসহ দুনিয়ার বেশিরভাগ গণতান্ত্রিক দেশে স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে অনুষ্ঠানের বিধান আছে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশেও স্থানীয় নির্বাচন দলীয়ভাবে করার ক্ষেত্রে আপত্তির কিছু থাকা উচিত নয়। দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করলে তা হবে এক বিরাট অর্জন। দলীয়ভাবে বা নির্দলীয়ভাবে যেভাবেই নির্বাচন হোক না কেন, সে নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ হয় এবং সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, সেটি অত্যন্ত জরুরি বিষয়। সরকার ও নির্বাচন কমিশন এ ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে এটাই কাম্য।