বিদেশি হত্যা : বাংলাদেশ থেকেই দায় স্বীকারের টুইট

স্টাফ রিপোর্টার: দু বিদেশি নাগরিককে হত্যার দায় স্বীকার করে কথিত ইসলামিক স্টেট-আইএসের নামে যে দুটি টুইট বার্তা দেয়া হয়, সেটি বাংলাদেশ থেকে আপলোড করা হয়েছে। ইতালির নাগরিক সিজারি তাভেল্লাকে হত্যার পর দায় স্বীকার করে বার্তাটি টুইটারে দেয়া হয়েছিলো ঢাকা থেকে। এর সাথে জড়িত ব্যক্তি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করা গেছে বলে গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে।

জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া বার্তা আপলোডের উৎস খুঁজে বের করে। এতে তারা নিশ্চিত হন যে, সিজারি তাভেল্লাকে হত্যার পর প্রথম বার্তাটি যিনি আপলোড করেন তিনি রাজধানীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এ ব্যক্তি উগ্রপন্থী কোনো গোষ্ঠীর সাথে জড়িত কি-না, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এরপর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার দায় স্বীকার করে টুইট বার্তাটিও বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে জড়িত ব্যক্তিকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এদিকে বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর ইন্টারনেটভিত্তিক তৎপরতা নজরদারিতে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের বরাত দিয়ে রয়টার্সসহ আন্তর্জাতিক একাধিক বার্তা সংস্থা এ খবর প্রচার করে। গোয়েন্দারা টুইট বার্তার উৎস সম্পর্কে জানতে সাইটের প্রধান রিতা কাৎজের সাথে যোগাযোগ করেন। রিতা বলেছেন, ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সময় বেলা ১টা ২০ মিনিটে তিনি আইএসের নামে সিজারি তাভেল্লাকে হত্যার দায় স্বীকার করা টুইট বার্তাটি দেখতে পান। তখন তিনি অনলাইনে ছিলেন। এর ১৮ মিনিট পর তিনি তা নিজের টুইট অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন এবং সাইটের ওয়েবসাইটে আপলোড করেন। একইভাবে ৩ অক্টোবর কুনিও হোশি হত্যার পর নিউইয়র্ক সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে আইএসের দায় স্বীকার করা টুইট বার্তা পান। এরপর ১১টা ৩৮ মিনিটে তিনি তা নিজে টুইট করে জানান এবং সাইটে আপলোড করেন। সংশ্লিষ্টরা বলেন, আইএস যেসব টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সিরিয়া ও ইরাকে নিজেদের বক্তব্য প্রচার করে থাকে, তাতে বাংলাদেশের দু হত্যার বিষয়টির উল্লেখ নেই। তাই রিতা কাৎজের কাছে ওই দুটি বার্তার লিংক চাওয়া হযেছে। কিন্তু তিনি এ অনুরোধে সাড়া দেননি। রিতা কাৎজ সম্পর্কে জানা গেছে তিনি ইহুদি ধর্মের অনুসারী। ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ১৯৬৮ সালের দিকে তৎকালীন সাদ্দাম সরকার প্রকাশ্যে ফাঁসি কার্যকর করে রিতার বাবার। ওই সময় তিন সন্তান নিয়ে রিতার মা পালিয়ে যান ইরানে। সেখান থেকে চলে যান ইসরাইলের বাট ইয়াম শহরে। সেখানেই পরবর্তীতে তাদের ঠিকানা হয়। তার গোয়েন্দাগিরি ও সাইট নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।Bidesi

Leave a comment