দারিদ্র্য নির্মূলের উপায় বিশ্লেষণে নোবেল

স্টাফ রিপোর্টার: ২০১৫ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন প্রিন্সটন ইউনি-ভার্সিটির অর্থনীতিবিদ অ্যাঙ্গাস ডিটন। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ভোগ, দারিদ্র এবং উন্নয়ন বিষয়ে তার বিশ্লেষণী কাজের জন্যই এ পুরস্কার। গতকাল সোমবার রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ডিটনের পুরস্কারের কথা ঘোষণা করে।

গৃহস্থালির স্তরে কিভাবে ভোগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তা ডিটনের গবেষণার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। পাশাপাশি, দারিদ্র, স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়েও তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই সম্ভাব্য নোবেল প্রাপকের তালিকায় নাম ছিল ডিটনের। সত্তর বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ ১৯৮৩ সালে প্রিন্সটনে যোগ দেন।

ডিটনের এ গবেষণা দারিদ্র বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে মনে করছে নোবেল কর্তৃপক্ষ। এডিনবার্গে জন্ম নেয়া ডিটন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক। রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি বলেছে, তার গবেষণা বিভিন্ন ক্ষেত্রেই নীতি নির্ধারণী পরিকল্পনা নিতে  প্রভাবকের ভূমিকায় ছিলো। যেমন খাদ্যে অতিরিক্ত মূল্য সংযোজন করের কারণে সমাজের কারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নিয়েও তিনি ভেবেছেন, দেখিয়েছেন পথ। কল্যাণ বয়ে আনার পাশাপাশি এবং দারিদ্র দূরীকরণে অর্থনৈতিক কৌশল প্রণয়ন করতে হলে আমাদের প্রথমেই ধারণায় নিতে হয় ব্যক্তির রুচির বিষয়টি। আর অ্যাঙ্গাস ডিটন ভোক্তার রুচি বিশ্লেষণ এবং তা বোধগম্য হওয়ার মতো করে উপস্থাপন করেছেন।

পুরস্কারের হিসাবে ডিটন পাবেন ৮ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রাউন (৯ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার)। পুরস্কার জেতার পর ডিটন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, খুবই ভাল লাগছে। কিন্তু অন্ধ আশাবাদী নই। কারণ আমি জানি, বিশ্বের অগণিত মানুষ এখনও দারিদ্র ও অন্যান্য সমস্যায় জর্জরিত।nob

Leave a comment