বিদেশীদের হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াত চক্রের অপকৌশল : শিগগিরই সবকিছু উদঘাটন হবে

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক গতকাল রোববার মেহেরপুর, মুজিবনগর, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে অংশ নেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মতবিনিময়সভায় মন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখার পাশাপাশি মেহেরপুর, দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন। মুজিবনগর কমপ্লেক্সও পরিদর্শন করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক গত পরশু রাতে মেহেরপুরে পৌছান। তিনি গতকাল রোববার সকালে মেহেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন। এরপরই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে সংঘবদ্ধভাবে আইএস থাকতে পারে বলে সরকার মনে করছে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। তাই একাত্তরের পরাজিত শক্তির যারা, তারা বিষয়টি মেনে নিতে পারছে না। দু বিদেশি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এর সাথে জামায়াত-বিএনপি জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

১ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মেহেরপুর শহরে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ সম্প্রতি সম্পন্ন হয়। গণপূর্ত প্রকৌশলের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ কাজ শেষে গতকাল সকাল ১০টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ভবনের ফলক উন্মোচন করেন। একই সাথে ভবন প্রাঙ্গণে একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ করেন। পরে নতুন ভবনের কমিউনিটি সেন্টারে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মাহমুদ হাসান। এ সময় সেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসান উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, মেহেরপুর পৌর মেয়র আলহাজ মো. মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, মেহরেপুর প্রেসক্লাব সভাপতি রশিদ হাসান খান আলো, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বশির আহমেদসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধাগণ।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ আবারো শুরু হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে অসম্পূর্ণ কাজসহ মুজিবনগর দিবসের আগেই আরো নতুন কিছু কাজ সম্পন্ন হবে বলে আমরা আশা করছি। গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে মুজিবনগর কমপ্লেক্স পায়ে হেঁটে পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন মন্ত্রী। তিনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল, সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মঈনুল হাসান, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিয়াউদ্দীন বিশ্বাস, সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল রোববার দুপুর ২টার দিকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় নব নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের ফিতে কেটে ও ফলক উম্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে চলেছে। যারা কিছুদিন আগেও এদেশকে একটি তলাবিহীন ঝুঁড়ি বলে অবজ্ঞা করতো, তারাই স্বীকৃতি দিচ্ছে বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না তারাই শেখ হাসিনাকে কমপক্ষে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। এখনও হত্যার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, বিদেশিদের হত্যাকাণ্ড বিএনপি-জামায়াত চক্রের একটি অপকৌশল, শিগগিরই সবকিছু উদঘাটন হবে। দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যখন পুরস্কৃত হচ্ছেন, সারা বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে পুরস্কৃত করছে, ঠিক তখনই এ ধরনের হত্যাকাণ্ড স্বাধীনতা বিরোধীদের একটি চক্রান্ত। আশা করি দ্রুত এ চক্রান্তের উদঘাটন হবে, যার মাধ্যমে বিশ্ববাসী প্রকৃত ঘটনা জানতে পারবে।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি হাজি আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার আছির উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষযক প্রকল্প পরিচালক মাহমুদ হাসান, আবুল কালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাবেক দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জহুরুল হক, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, সহাকারী পুলিশ সুপার ছুফী উল্লাহ, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ডার আবু হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কমান্ডার আব্দুস শুকুর বাঙালী, দর্শনা পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা আ.লীগের যুগ্মসম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, ঠিকাদার গোলাম মোস্তফা লালা, এনামুল হক, ওসমান গনি প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রাক্তন নাজির হামিদুল ইসলাম।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী আ.ক.ম.মোজাম্মেল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে সকলে এক সাথে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধাকে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অস্ত্র হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে বদ্ধ পরিকর। গতকাল রোববার বিকেল ৫টায় নবনির্মিত আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অথিথি হিসেবে তিনি এ কথাগুলো বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি। উদ্বোধন শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন মন্ত্রী। শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সকল হাসপাতালে যাতে বিনামূল্যে ওষুধ ও চিকিৎসা পান সরকার সে ব্যবস্থা করবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা লিস্ট যাচাই-বাছাই করার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। এক অর্বাচিন মুক্তিযোদ্ধা হাইকোর্টে মামলা করে তা স্থগিত করে দিয়েছে। আমরা জবাব দিয়েছি অচিরেই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হবে। আপনাদের কারো না কারো সহায়তায় কোনো না কোনো কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শুরু হলে এ সব মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়া হবে। এখন অনেক বিসিএস ক্যাডার অফিসার দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানেন না। তাহলে তারা কীভাবে দেশের সেবা করবেন? আগামীতে বিসিএস পরীক্ষায় দেশের স্বাধীনতা ও দেশের ইতিহাস বিষয়ে ১শ মার্কের প্রশ্ন থাকবে।

আলমডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন। তিনি বলেন, বিগত ৬ বছরে এ সরকার দেশব্যাপি যে উন্নয়ন হয়েছে তা ইতঃপূর্বে কোনো সরকার করতে পারেনি। আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গায় আমি নির্বাচিত হওয়ার পর যতো উন্নয়ন সাধন করেছি, যা বিগত ৪০ বছরে কোনো এমপি করতে পারেননি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্যালুট করি। তিনি এ বাংলার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বাঙালি জাতির কথা বলতে গিয়ে, ভাষার কথা বলতে গিয়ে, সারাজীবন বাঙালির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পাকিস্তানের ২৪ বছরের ১৪ বছরই কারাগারে কাটিয়েছেন, সেই অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক শেখ মুজিব। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের উদেশ্যে বলেন, আমরা যারা মাঠে এক সাথে যুদ্ধ করেছিলাম, সেই সহযোদ্ধাদের ভুলে যাবেন না। আমি ভুলিনি, ভুলবো না। আপনাদের যে কোনে সমস্যায় সার্বক্ষণিকভাবে আমি আপনাদের পাশে আছি, থাকবো।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মাহমুদ হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুফী উল্লাহ, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু, অ্যাড. আব্দুর রশীদ মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান হাসান কাদির গনু, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. সাহাবুদ্দিন সাবু। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হকের উপস্থাপনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুণ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম মন্টু, থানা অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার রহমান, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান জেলা জাসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. সবেদ আলী, ডেপুটি কমান্ডার অহিম উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, কুমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যন মজিবর রহমান, বিআরডিবি চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক মহিদুল ইসলাম মহিদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকের মধ্যে আশাবুল হক ঠাণ্ডু, সমীর দে, আব্দুর রাজ্জাক, বিল্লাল গনি, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আহসান উল্লাহ, খাসকররা ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান রুন্নু, পৌর যুবলীগের সভাপতি আব্দুল গাফফার, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনাহার, যুগ্ম সম্পাদক রাজাবুল হক মনা, যুবলীগ নেতা আশাদুল হক ডিটু, মতিউর রহমান ফারুক, সাইফুর রহমান পিন্টু, মিজানুর রহমান মিজান, সাইকা, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাহিদ হাসান তমাল, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল হক, সম্পাদক সেলিম রেজা তপন, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্মসম্পাদক তানিম, প্রচার সম্পাদক জাইদুল, ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ, হাসান, কাফি, বাদশাসহ উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা ও দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 

damurhuda pic. 11.10.15 (1)