আলুকদিয়া প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়া কানাপুকুর গোরস্তানের নিকট গতপরশু মধ্যরাতে দীর্ঘ সময় ধরে একদল ডাকাত তাণ্ডব চালিয়েছে। একটি মাইক্রোবাসসহ কমপক্ষে ১০/১২টি ট্রাকে ডাকাতি হলেও গোকুলখালী ক্যাম্প ইনচার্জ বলেছেন, তেমন কিছুই হয়নি। গাছ পড়ে ছিলো। টহল পুলিশ পৌছে তা অপসারণের মধ্য দিয়ে সড়ক চলাচল স্বাভাবিক হয়।
পুলিশের এ বক্তব্য শুনে ডাকাতির শিকার ট্রাকচালক বলেছেন, ডাকাতদল দীর্ঘ সময় ধরে নগদ টাকা, মোবাইলফোন তো ডাকাতি করেছেই, ট্রাক থেকে ধানের বস্তাও নামিয়ে নিয়েছে। অথচ পুলিশ যদি এ ঘটনাকে ডাকাতি বলতে রাজি না হয়, তাহলে আমাদের আর কী বলার আছে?
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের আলুকদিয়া কানাপুকুর গোরস্তানের নিকট গত দু মাসের ভেতর কয়েকবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতপরশু মঙ্গলবার দিনগত রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা একদল ডাকাত ডাকাতি করে। ডাকাত দল রাস্তার গাছ কেটে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতি করতে থাকে। এতে প্রায় দু লক্ষাধিক টাকার মালামাল, নগদ টাকা, মোবাইলফোন ও ধান বোঝাই ট্রাক থেকে আনুমানিক ২০ বস্তা ধান ডাকাতি করে নিয়ে যায়। ধান বোঝাই ট্রাকড্রাইভার গতকাল সকালে আলুকদিয়ার বিশ্বাস ফিলিং স্টেশনে এসব তথ্য দেন। এলাকাবাসীর ভাস্যমতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মোবাইল টহল গাড়ি আলুকদিয়া এলাকা ঘুরে চুয়াডাঙ্গা ফেরে রাত আনুমানিক ১টার দিকে। এর কিছুক্ষণ পরই সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতদল ডাকাতি শুরু করে। গোকুলখালী ফাঁড়ির টহল পুলিশের গাড়ি রাতে আলুকদিয়া এলাকায় তেমন দেখা যায় না। ঘটনার রাতেও টহল দিয়েছে কি-না তা নিশ্চিত নন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গোকুলখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকে একই স্থানে দু মাসের ব্যবধানে চার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটলো। গোকুলখালী ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তেমন কিছুই হয়নি শুধু চোরে গাছ কেটেছে। তবে গাছটি বর্তমানে কোথায় আছে জানতে চাইলে তিনি পরিষ্কার করে কিছু না বলে বলেন, গাছটি উদ্ধার করেছি এবং কোথাও এক জায়গায় আছে।