গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়ার মিতু খাতুন নামের এক নববধূ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে আলমডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার মিতু খাতুন নামের এক নববধূ। মাত্র ৩ মাস আগে বিয়ে হয় মিতু খাতুনের। গতকাল সকাল ৯টার দিকে তিনি পিতার বাড়িতে ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। কী কারণে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য মেলেনি।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা কোর্টপাড়ার শফিউর রহমান মোল্লার মেয়ে মিতু খাতুনের (১৮) সাথে প্রায় ৩ মাস আগে আলমডাঙ্গা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের গার্ড কবির হোসেনের বিয়ে হয়। কবির হোসেন কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার শুকচা গ্রামের ছেলে। বিয়ের পরপর কবির-মিতু দম্পতি আলমডাঙ্গা শহরের শিলা সিনেমা হলপাড়ায় ভাড়াবাড়িতে বসবাস করতেন। এর এক পর্যায়ে মিতুর মা অন্যত্র ভাড়ায় না থেকে জামাই-মেয়েকে তাদের সাথে একই বাড়িতে বসবাসের অনুরোধ করেন। সম্প্রতি কবির হোসেন স্ত্রী মিতুকে নিয়ে শাশুড়ির সাথে কোর্টপাড়ায় বসবাস শুরু করেন। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কবির হোসেন চাকরিস্থল ব্যাংকের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে মিতু খাতুন ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে নিজের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগান। বিষয়টি মিতুর মা দেখে চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ডিগ্রি কলেজের সামনে অবস্থিত নিউ লাইফ সার্জিক্যাল ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নববিবাহিত তরুণীর এমন আত্মহত্যার বিষয়টি মানুষ সহজভাবে মেনে নিতে পারছে না। তবে মিতুর মা ও স্বামী কেউই আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। দাম্পত্য কলহের কারণে কি-না জিজ্ঞাসা করলে মিতুর মা জানান, তাদের মধ্যে দাম্পত্য সমস্যা ছিলো না। ছিলো না পারিবারিক সমস্যা। মিতুর জ্বর ছিলো। স্বামীকে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাংকে ডিউটিতে যেতে নিষেধ করলেও তিনি ব্যাংকে চলে যান। এ বিষয়ে অভিমানে মিতু আত্মহত্যা করতে পারে বলে প্রতিবেশীদের অনেকে ধারণা করছেন।

এদিকে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে দুপুরে থানা পুলিশ মিতুর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্ত শেষে রাতে লাশ স্থানীয় দারুস সালাম কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।