একনেকে ৪ প্রকল্প অনুমোদন : হাইটেক পার্কে হবে ফোর টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার

স্টাফ রিপোর্টার: কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্কে ৭ একর জমির ওপর ফোর টায়ার বা চতুর্থ স্তরের জাতীয় ডাটা সেন্টার স্থাপন করা হবে। এ জন্য ১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি, একনেক। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, এ ডাটা সেন্টার নির্মাণে ১ হাজার ১৯৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ঋণ দিবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। অবশিষ্ট ৩১৭ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে। প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজের দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সেবার মান বাড়ানোর জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডাটা সেন্টার প্রয়োজন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, ভূমি মন্ত্রণালয়, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিদ্যুত বিভাগের ডিজিটা-লাইজেশনের জন্য ডাটা সেন্টার-সেবার চাহিদা রয়েছে। দেশে বর্তমানে থ্রি টায়ার জাতীয় ডাটা সেন্টার রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সরকারি সব কাজ পেপারলেস হবে বলে আশা প্রকাশ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী।

গতকাল মঙ্গলবার মোট তিনটি নতুন এবং একটি প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন করে একনেক। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ২ হাজার ৪৭৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৮৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি উত্স থেকে ১ হাজার ৩৮৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সভায় তিতাস নদী পুনর্খনন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশ খনন করা হবে। এতে মোট ১৫৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে। রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থাপনা পদ্মা নদীর ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করতে নেয়া পৃথক প্রকল্পে ব্যয় হবে ৮৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ‘বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির সহায়তায় দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবসহন’ প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দিয়েছে একনেক। এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৭১৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। শুরুতে প্রকল্পটির অনুকূলে ১ হাজার ৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিলো। এ হিসেবে প্রকল্পটির বরাদ্দ কমেছে ৩২৩ কোটি টাকা। শুরুতে প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন ছিলো ৫২৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এতে বিশ্বখাদ্য সংস্থার (ডব্লিউএফপি) সহায়তা ছিলো ৫০৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৩২৩ কোটি টাকা ডব্লিউএফপি না দেয়ায় প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে প্রথম হাতে নেয়া হয়। ডব্লিউএফপি জাপান ও ব্রাজিল থেকে প্রত্যাশিত খাদ্য বরাদ্দ না পাওয়ায় এ প্রকল্প থেকে ৩৯ হাজার উপকারভোগীর সংখ্যা কমানো হয়েছে। মূলত যে সব দেশে এখন খাদ্য উদ্বৃত্ত হয় সেসব দেশ খাদ্য নিরাপত্তার কথা ভেবে খাদ্য সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম প্রতিশ্রুত খাদ্য সাহায্য অনেক ক্ষেত্রে দিতে পারছে না। তাই প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে সংশোধন করে একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।