আলমডাঙ্গার কাবিলনগরে কিশোর সলোক অপহরণ : মুক্তিপণ দাবি

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার পল্লি কাবিলনগরের কিশোর সলোককে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করা হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় মোবাইলফোনে কথা বলতে বলেত বাড়ি হতে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি সে। ফিরে না আসা শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। গতকাল সোমবার সকালে বাড়ি পাশে একটি খড়ের গাদার নিকটে সলোকের মোবাইলফোনটি পাওয়া যায়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে একটি রবি নম্বর থেকে সলোকের মোবাইলফোনে কল আসলে তার পিতা শামসুল আলম ফোন রিসিভ করেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোনে জানায় সলোককে অপহরণ করা হয়েছে। তাকে ফেরত পেতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দর কষাকষিতে আড়াই লাখ টাকায় নেমে এসেছে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কাবিলনগর গ্রামের মাঠপাড়ার কৃষকের ছেলে সলোক ইসলাম (১৭)। গত শনিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে অবস্থানকালে অজ্ঞাত ব্যক্তির রিং পেয়ে মোবাইলফোনে কথা বলতে বলতে সলোক বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পেছন থেকে তার পিতা শামসুল ইসলাম ডাক দিলেও সে ভ্রূক্ষেপ না করেই কথা বলতে বলতে চলে যায়। সারা রাত বাড়ি ফেরেনি। পরদিন রোববারও ফেরেনি। আত্মীয়-স্বজনসহ সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। গভীর উৎকণ্ঠায় রোববার রাতও পার করে স্বজনেরা। গতকাল সোমবার সকালে বাড়ির খড়ের গাদার পাশে সলোকের ব্যবহৃত মোবাইলফোনটি পড়ে থাকতে দেখে বাড়ির লোকজন। সে সময় তাদের মনে ভীতি জন্মায় যে, সলোককে কেউ হত্যা করেনি তো? এরই মধ্যে সকাল পৌনে ১০টার দিকে একটি রবি সিম নম্বর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি সলোকের মোবাইলে রিং দিলে সলোকের পিতা শামসুল ইসলামে ফোনটি রিসিভ করেন। সে সময় অজ্ঞাত ব্যক্তি সলোকের মুক্তিপণ হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি শামসুল ইসলাম প্রতিবেশীদের জানালে প্রতিবেশীরা থানা পুলিশকে অবহিত করতে বলে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী শামসুল ইসলাম গতকাল সোমবার থানায় জিডি করেন। জিডি করে বাড়ি যেতে না যেতেই সন্ধ্যায় পৃথক আরেকটি নম্বর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ফোন করে বেশি বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। নানা হুমকিধামকি দিয়ে মুক্তিপণ ১০ লাখ টাকা থেকে আড়াই লাখে পূননির্ধারণ করে।

এদিকে, সলোক অপহরণের ৫০ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। গতকাল দুপুরে থানায় জিডি করা সত্ত্বেও পুলিশ এ বিষয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে পুলিশ বলেছে, সলোককে উদ্ধারের ব্যাপারে তৎপরতা অব্যহত আছে।