এম আর বাবু: জীবননগর উপজেলার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, কবি ও সাহিত্যিক সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক মুন্সী আব্দুস ছাত্তার (৯৮) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজেউন)। গতকাল রোববার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে বার্ধক্যজনিত রোগে জীবননগর শহরতলীর দৌলৎগঞ্জপাড়ার নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। তার মৃত্যুতে জীবননগরবাসী একজন শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীকে হারালো। আজ সোমবার বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের সময় জীবননগর স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে তাকে স্টেডিয়াম সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও মহল গভীর শোকপ্রকাশ করেছে।
জীবননগরে তৎকালীন এমই স্কুলে শিক্ষকতা দিয়ে জীবন শুরু করা মুন্সী আব্দুস ছাত্তার জীবননগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তিনি প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক। এ বিদ্যালয়টি ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর আগে তিনি হাসাদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাকতা করেন। জীবননগর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে পরবর্তীতে অবসর নেয়া এ শিক্ষাগুরু ও বুদ্ধিজীবী পরবর্তীতে সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। বহু কৃতিছাত্র ও শিক্ষকের এ শিক্ষাগুরু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জ্ঞানের ভাণ্ডার বিলিয়ে গেছেন। বেশ কিছু দিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তিনি ব্রেনস্ট্রোকেও আক্রান্ত হন। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ৪ মেয়ে রেখে গেছেন। তার কনিষ্ঠ পুত্র মুন্সি আবু সাঈফ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
এদিকে জীবননগরে সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ শিক্ষকের মৃত্যুতে উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেয়ে এসেছে। তার মৃত্যুতে জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তূজা, পৌর মেয়র নোয়াব আলী, রাজনীতিক কাজী বদরুদ্দোজা, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান, জীবননগর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ডা. শাহিনুর হায়দার, প্রেসক্লাব সভাপতি আনোয়ারুল কবির, দৌলৎগঞ্জ বাজার কমিটির আহ্বায়ক এমআর বাবু, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আ. সালাম ঈসাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সংগঠনের পক্ষ হতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশসহ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।