স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুর আকন্দবাড়িয়ার রিজিয়া খাতুনকে (৫৫) পাকড়াও করেছে গোয়েন্দা পু্লিশের একটি দল। গতকাল রোববার দুপুরে তার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। পুলিশ বলেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিজিয়া খাতুনের বাড়ির সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ৫ বোতল ফেনসিডিল। ছেলেকে চিকিৎসা করানোর জন্য এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি দেয়ার জন্য ফেনসিডিলের ব্যবসা করেন বলে জানিয়েছেন মধ্যবয়সী রিজিয়া খাতুন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, আকন্দবাড়িয়ার আবু বক্করের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করে আসছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই ইব্রাহিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালান। বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক করা হয় রিজিয়া খাতুনকে। আটকের পর রিজিয়া খাতুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে বলেন, আশা সমিতি থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। ঋণের কিস্তি দেয়ার আর কোনো উপায় না থাকায় ফেনসিডিলের ব্যবসা করতে বাধ্য হয়েছি। বিস্তারিত জানতে চাওয়া হলে মধ্যবয়সী রিজিয়া খাতুন বলেন, এক ছেলে দু মেয়ে। ছেলে সানোয়ার হোসেন কয়েক বছর ধরে পাগল। স্বামীও কাজ করতে পারে না। ছেলের চিকিৎসার জন্য আশা এনজিও থেকে ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছি। ওই ঋণের কিস্তি দিতে হয়। ফেনসিডিলের ব্যবসা ছাড় আর কি করে কিস্তি দেবো?
উল্লেখ্য, আকন্দবাড়িয়ার অনেকেই মাদকদ্রব্য পাচারের সাথে সংশ্লিষ্ট। অনেকেরই অভিযোগ, মাদকের সাথে জড়িয়ে ইচ্ছে করলেও কেউ কেউ ফিরতে পারছে না। কারণ তাদের মাদকের ব্যবসা না করলেও পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ারসহ বিভিন্ন সংস্থার নামে টাকা আদায়কারীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হতে হয়। মিথ্যা মামলায় ফাসানোরও হুমকি দেয়া হয়। এ ধরনের অভিযোগের পর এবার পাওয়া গেলো ঋণের কিস্তি পরিশোধের ফিরিস্তি।