স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপি জেলা উন্নয়ন মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই দিনে জীবননগর উপজেলা উন্নয়ন মেলারও ইতি টানা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে জেলা শিল্পকলার মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস।
সকাল সাড়ে ১০টায় ভি.জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিষয় ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০টি প্রশ্নের মধ্যে ভি.জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১০টি প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে বিজয়ী হয় এবং সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা ৫টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে রানার আপ হয়। এছাড়া সারাদিনব্যাপি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরিকৃত উপস্থাপনা প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করেন। উপস্থাপনার মধ্যে ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ শীর্ষক ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী। বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হামিম হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান। সহকারী কমিশনার সৈয়দা নাফিজ সুলতানার সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, সহকারী কমিশনার মুনিবুর রহমান, তরিকুল ইসলাম, মুসফিকুল আলম হালিম, সাব্বির হোসেন সামি, এটিএম শামসুজ্জামান, ফারজানা খানমসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, আজ মানুষের দোরগড়ে সেবা পৌঁছুতে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ঘরের কাছে কম খরচে সব ধরনের সেবা পাচ্ছে জনগণ। সেখান থেকে সরকারি চাকরির আবেদন, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির তথ্য ও বিদেশে তথ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য থাকতে হবে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশসহ একটি অত্যাধুনিক দেশে পরিণত করা। এরপর প্রধান অতিথি কুইজ প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকারী ভি.জে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রদের এবং দ্বিতীয় স্থান অধিকারী সরকারি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া মেলায় স্টল দেয়া ৩১টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার বিতরণ করেন। মেলায় স্টলগুলোর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে জেলা পুলিশ স্টল, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা ও তৃতীয় স্থান অধিকারী প্রতিষ্ঠান হলো বিআরডিবি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। পরবর্তীতে জেলা শিল্পকলা পরিবেশনায় শিল্পীরা রবীন্দ্র সঙ্গীতসহ বিভিন্ন ধরনের গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে ৩ দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলা গতকাল বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুছ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. রওশন আরা বেগম, উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আনোয়ার হোসেন, উপজেলা মৎস্য অফিসার ফরহাদুর রেজা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন। প্রথম বারের মতো আয়োজিত এ উন্নয়ন মেলায় সেরা স্টল নির্বাচিত হয়েছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর জীবননগর উপজেলা ক্যাম্পাসে ৩ দিনব্যাপি উন্নয়নমেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর।