চুয়াডাঙ্গা দোস্ত বাজারের সরকারি কোটি টাকার সম্পত্তি দখল মুক্ত করতে জেলা পরিষদের নোটিশ : শুরু হয়েছে ফন্দি ফিকির

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্ত বাজারের সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১৯ জন দখলদারকে দেয়া হয়েছে নোটিস। প্রতারণা করে মোটা অঙ্কের টাকায় লিজ দেয়া মালিক এবং বর্তমানে দখলে থাকা এ দু’পক্ষের মধ্যে চলছে মধ্যস্থতা। অপরদিকে পজিশন পাইয়ে দিতে অথবা পজিশন ঠিক রাখতে অনেকেই শুরু করেছেন ধান্দাবাজি।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের দোস্তবাজারে ২১ নং কৃষ্ণপুর মৌজার ২ নং খতিয়ানের ৭৩৫ নং দাগের ৮৯ শতক জেলা পরিষদের জায়গা। দীর্ঘদিন থেকে স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তি ভোগদখল করে নিজে অথবা মোটা অঙ্কের টাকায় লিজ দিয়েছে। আর এসব জায়গায় তৈরি করা হয়েছে পাকা দোকান। যা একেবারেই বেআইনি। এনিয়ে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় মাস খানেক আগে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সার্ভেয়ার দিয়ে মাপজোক করেন। মাপজোকের সময় উপজেলা প্রশাসন জানতে পারে দখলীয় ৮৯ শতক জমি জেলা পরিষদের। বিষয়টি জেলা পরিষদকে প্রতিবেদন আকারে জানালে নড়েচড়ে বসে জেলা পরিষদ। সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে দোস্তবাজারের ১৯ জন দখলদারের বিরুদ্ধে সরকারি জমি দখল ছাড়তে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) শেখ হামিম হাসান একটি নোটিস প্রদান করেন। নোটিসে ৭ দিনের মধ্যে জেলা পরিষদের দখলীয় জমি খালি করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। টনক নড়ে র্দীঘদিন মালিক সাজা দখলদারদের। এদিকে নোটিস পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় কতিপয় আলোচিত ব্যক্তি নতুন করে পজিশন পাইয়ে দিতে অথবা দখল ঠিক রাখতে ধান্ধা শুরু করে দিয়েছে। অন্যদিকে যারা মোটা অঙ্কের টাকায় লিজ দিয়েছেন এবং মাসে মাসে ভাড়া নিয়ে থাকে তারাও পড়েছে বিপাকে। এদিকে বাজারের প্রকৃত ব্যবসায়ীরা দাবি জানিয়ে বলেছে, জেলা পরিষদ জমি দখলমুক্ত করে সমপরিমাণ পজিশন বরাদ্ধ দিলে অনেক লাভবান হবে। এতে করে প্রতিবছর সরকার অধিক পরিমাণে রাজস্ব পাবে। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি করেন?Nazrul pic (2)