স্টাফ রিপোর্টার: শ্যালোইঞ্জিন চালিত অবৈধযান প্রায় প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে করছে পঙ্গু। গতকালও আলমসাধু চালানোর সময় পঙ্গুত্বের অভিশপ্ত জীবনযাপন কারীদের তালিকাভুক্ত হয়েছেন দামুড়হুদা জয়রামপুর মাঠপাড়ার ডালু (৪৫)। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জয়রামপুর স্টেশনপাড়ার নিজাম উদ্দীন (৬৫)। দুজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেছেন, ডালুর ডান হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার শরীরে বেশ কয়েক ব্যাগ রক্ত দিতে হচ্ছে। ডালু জয়রামপুর মাঠপাড়ার ফকির মোহাম্মদের ছেলে। তিনি শ্যালোইঞ্জিন চালিত আলমসাধুচালক। নিজাম উদ্দীন জয়রামপুর স্টেশনপাড়ার বদর উদ্দীনের ছেলে। তিনি বেগুন চালানি কাজের শ্রমিক।
জানা গেছে, ডালুর আলমসাধুযোগে নিজাম উদ্দীন দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা থেকে কয়েক বস্তা বেগুন নিয়ে জয়রামপুর স্টেশনের উদ্দেশে রওনা হন। জয়রামপুর কাঁঠালতলা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। আছড়ে পড়ে ডালুর একটি হাত চাকায় পিষ্ট হয়। আলমসাধুতে থাকা বেগুনের ডোলের ওপর বসে থাকা নিজাম উদ্দীনও আহত হন। দুর্ঘটনাটি ঘটে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে। আহত দুজনকেই উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। ডালু মিয়ার বাম হাতটি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হয়।
উল্লেখ্য, শ্যালোইঞ্জিনচালিত অবৈধযানের কারণে সড়কে দুর্ঘটনা সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিন যতো রোগী আসে তার সিংহভাগই এ অবৈধ যান দুর্ঘটনায় আহত। এদের অনেকেরই জীবনে নেমে আসছে পঙ্গুত্বের অভিশাপ। অসংখ্য পরিবারের ঘাড়ে এরা বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন চিকিৎসকসহ অনেকেই এ মন্তব্য করেছেন গতকাল।