খ্যাতিমান কবি শহীদ কাদরী স্বদেশপ্রেমের এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি বত্রিশ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেও সে দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ করেন নি! কেবল গ্রিন কার্ড নিয়েছেন। গ্রিন কার্ড গ্রহণ করলেও সিটিজেনশিপ কেন নেননি, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মর্যাদা হচ্ছে বাংলাদেশ, তাই আমি এটি গ্রহণ করতে পারি না। কারণ, আমি আমার দেশ ও মাটির গন্ধ নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। সিটিজেনশিপ পেলে আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা পেতাম, কিন্তু তা করিনি। উল্লেখ্য, তিনি লন্ডন, জার্মানিসহ বহু দেশ ঘুরে ১৯৮৩ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। এবার হঠাৎ করে তিনি বাংলাদেশি পাসপোর্ট তৈরির প্রয়োজনীয়তা মনে করে নিউইয়র্ক বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে আগষ্টে তার জন্মদিনের আগের দিন বিশেষ ব্যবস্থায় মেশিন রেডিবল (এমআরপি) ডিজিটাল পাসপোর্ট ইউনিট নিয়ে শহীদ কাদরীর বাসভবনে হাজির হন কনস্যুলেটের এমআরপি বিভাগের টিম। যার নেতৃত্ব দেন কনসাল চৌধুরী সুলতানা পারভীন। কবি তখন আবেগ-আপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান যে শেষ বয়সে এসেও সবার ভালবাসা পাচ্ছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি বাংলাদেশ সরকারের এখানকার প্রতিনিধিদের। তারা আমাকে এ সম্মানটুকু দিয়েছেন বলে।’ কবে যাবেন দেশে এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘মন তো চইছে এখুনি চলে যাই। কিন্তু তা পারছি না। সপ্তাহের তিনদিন ডায়ালাইসিস নিতে হচ্ছে। তবে আশা করছি শিগগিরই দেশে যাব। বড় ভাইকে অনেক দিন দেখি না। মনটা কেমন যেন করছে। তিনিও আসতে পারছেন না। বিমানে উঠতে ভয় পান। একটু সুস্থ হলেই যাওয়ার চেষ্টা করব। পুরোপুরি তো আর ভাল হওয়ার সুযোগ নেই।’