বিভিন্ন দেশ অভিযোগ করছে যে, মিনায় পদদলিত হয়ে এক হাজারের বেশি হাজী মারা গেছেন। যদিও সৌদি আরব বলছে নিহতের সংখ্যা ৭৬৯ জন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ব্যাখ্যা দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সৌদি কর্তৃপক্ষ বলছে তাদের প্রকাশ করা এগারোশো জনের ছবির মধ্যে মসজিদে ক্রেন ভেঙে পড়া ও হজ চলাকালে মিনা ঘটনাসহ অন্যান্য কারণে মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তিদের ছবিও রয়েছে।
তবে এ নিয়ে সৌদি আরবের উপর নানা দেশের চাপ অব্যাহত রয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষে ঘটনার তদারকির দায়িত্বে থাকা সংসদ সদস্য তারিক ফজল চৌধুরী বলছেন, ছবিগুলো মিনায় নিহতদের ছবি বলেই তার মনে হয়েছে।
তিনি বলছেন, তাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে মিনার ওই ঘটনাতেই মৃতের সংখ্যা এগারোশো হবে। তিনি আরো বলছেন, সৌদি আরব অন্যান্য ঘটনায় মৃতের কথা বললেও সে সম্পর্কিত কোন তথ্য তিনি জানতে পারেন নি।
নাইজেরিয়ার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন যে, ১০৭৫ জনের মৃতদেহ জেদ্দায় একটি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে।
পাকিস্তান, ইরান আর ইন্দোনেশিয়াও জানিয়েছে যে, সহস্রাধিক হাজী মৃত্যুর ছবি তারা দেখতে পেয়েছে।
ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সৌদি আরবকে ‘অযোগ্য’ এবং ‘অদক্ষ’ অভিহিত করে তাদেরকে এই ব্যাপক মৃত্যুর জন্য দায়িত্ব স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছে।
তবে সৌদি আরবের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি দাবি করেন, যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে অনেকে ক্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এছাড়া এমন অনেক বিদেশী নাগরিকের মৃতদেহের ছবি রয়েছে যারা অনুমতি ছাড়াই হজ্জ পালনের সময় এসে মারা গেছেন।
হজ্জ করার সময় গত পঁচিশ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
মিনায় ওই ঘটনা নিহত ২৬ জন বাংলাদেশীর তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের হজ অফিস।
এসব বাংলাদেশীর মরদেহ মক্কার একটি হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩৩ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তবে এখনো কতজন বাংলাদেশী নিখোঁজ রয়েছেন সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য দিতে পারেনি কর্মকর্তারা।