‘এ’ দলের এ কী দশা!

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারত সফরের আগে জয়ের সংস্কৃতি ধরে রাখার কথাই জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের কোচ হিথ স্ট্রিক। প্রত্যয়ী কণ্ঠে কোচ জানিয়েছিলেন, চেষ্টা করবো সব ম্যাচ জিততে। ১৬ দিনের সফর শেষে বাংলাদেশ এ দলের পারফরম্যান্স জানান দিচ্ছে উল্টো বার্তা। বেঙ্গালুরুতে একটি একদিনের ম্যাচ বাদে সফরজুড়ে বাংলাদেশ ‘এ’ দল পুরোপুরিই ব্যর্থ।

তিনটি একদিনের ও দুটি তিন দিনের ম্যাচ- মোট পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। মুমিনুলদের এমন ভরাডুবি অপ্রত্যাশিতই বলতে হবে। দলের বেশির ভাগ সদস্যই সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে পারফর্ম করছেন ধারাবাহিকভাবে। অথচ ভারত সফরে অধিকাংশই ছিলেন নিষ্প্রভ। একদিনের ম্যাচের সিরিজে নাসির ও লিটন দাস বাদে কোনো ব্যাটসম্যানই রান পাননি উল্লেখ করার মতো। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার প্রভাব পড়েছে সিরিজের ফলেও। তিন ম্যাচে ওপেনার সৌম্য সরকারের রান ৯, ২৪ ও ১, রনি তালুকদার ১৩, ০ ও ৯, এনামুল হক ০, ৩৪ ও ১। প্রথম দু ম্যাচে ৩ উইকেট পড়েছে ৩৪ ও ৬৬ রানে। আর শেষ ম্যাচে ২৪ রানের মধ্যেই সাজঘর ধরেছেন তিনজন! সাদা বলে মুমিনুল এ দফাও ব্যর্থ। তিন ম্যাচে রান ৩৭, ৩ ও ১৯।

একদিনের সিরিজে ব্যতিক্রম কেবল নাসির ও লিটন দাস। তিন ম্যাচে এক সেঞ্চুরি ও এক ফিফটিতে নাসির করেছেন সিরিজ সর্বোচ্চ ১৭৬ রান। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচটি তো ‘এ’ দল জিতেছিল নাসিরের দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদেই। বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪১ রান করেছেন লিটন। সিরিজে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬৭ রান এসেছে সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে। একদিনের সিরিজে মূল বোলাররাও যে খুব একটা সফল ছিলেন, বলা যায় না। তিন ম্যাচে ভারত ‘এ’ দলের মোট ২২ উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সফল নাসির। নিয়েছেন সিরিজ সর্বোচ্চ ৮ উইকেট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট রুবেল হোসেনের। ব্যবহৃত বাকি সাত বোলার মিলে নিয়েছেন অবশিষ্ট ৯ উইকেট!

Leave a comment