উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশের অর্জন সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: চুয়াডাঙ্গা, দামুড়হুদা, জীবননগর ও ঝিনাইদহের কোর্টচাঁদপুরে গতকাল মঙ্গলবার উন্নয়ন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগগুলো তুলে ধরে ৩ দিনব্যাপি চুয়াডাঙ্গায় উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। দামুড়হুদা ও জীবননগরে তিন দিনের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের মেলা উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. নবী নেওয়াজ।

চুয়াডাঙ্গায় মেলা উদ্বোধনকালে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের মধ্যদিয়ে নিম্নমধ্যবিত্ত দেশে উন্নীত করা সম্ভব হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশের উত্তরোত্তর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে রাজাকার, যুদ্ধাপরাধীরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারা দেশের উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। উন্নয়নে বাধাগ্রস্তকারী তথা ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

চুয়াডাঙ্গায় ৩ দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলার প্রথম দিনে তথা উদ্বোধনী দিনে শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ফিতে কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সৌজন্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহীদ হাসান চত্বর প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে আলোচনাসভা ও সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা ও সেমিনারে প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আ.লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় বাংলাদেশের অর্জন সারা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ পুরস্কার লাভ করেছেন। এটা সারা দেশবাসীর অর্জন। বাংলাদেশ অসীম সম্ভাবনার দেশ। এ দেশের মানুষের পরিশ্রম করার ক্ষমতাও তুলনাহীন।  পাঁচ কোটি মানুষ অতি দরিদ্র থেকে এখন নিম্নমধ্যবিত্ত পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হামিম হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন মেজবাউল হক, পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন ও জেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান। সহকারী কমিশনার জেসমিন নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আবু সাঈদ, সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুর রাজ্জাক, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুনউজ্জামান, সহকারী কমিশনার তরিকুল ইসলাম, মুসফিকুল আলম হালিম, সাব্বির হোসেন সামি, এটিএম শামসুজ্জামান, ফারজানা খানম, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নির্মল কুমার দে, জেলা তথ্য অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রধান অতিথি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভরশীল দেশ। আমাদের দেশের উন্নয়ন কৃষির ওপর নির্ভর করে। তাই দেশ গঠনে কৃষকদের ভূমিকা অপরিসীম। তারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন সাধন করেন। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। আর তা বাস্তবায়ন করছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের চুয়াডাঙ্গাতে কাঁচা বাড়ি দেখা যায় না। চুয়াডাঙ্গার প্রায় ৯৫ ভাগ বাড়ি পাকা হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায় দেশে কতোটা উন্নয়ন হয়েছে। তবে এ উন্নয়ন সরকারের একক প্রচেষ্টায় সম্ভব হয়নি। জনগণ দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আসুন আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মধ্যবিত্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করি।

অনুষ্ঠানের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, শিক্ষাখাতে বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমান সরকার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো একই সাথে জাতীয়করণ করেছে। আজ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছাতে সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা পৌঁছে দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ঘরের কাছে কম খরচে সব ধরনের সেবা পাচ্ছে জনগণ। সেখান থেকে সরকারি চাকরির আবেদন, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির তথ্য ও বিদেশে তথ্য পাঠানো সম্ভব হচ্ছে। মানুষকে সেবা নিতে আর শহরে আসতে হচ্ছে না। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সফলতায় প্রাপ্ত পুরস্কার সম্পর্কে আলোকপাত করেন। আলোচনাসভার পর সেমিনারে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বর্তমান সরকারের সাফল্য বিষয়ক ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

মেলায় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ, জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা পরিষদ, পৌর সভা, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর, ওজোপাডিকো লিমিটেড, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, একটি বাড়ি একটি খামার, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, জেলা পরিসংখ্যান অফিস, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ অফিস, মৎস্য অধিদফতর, বিএডিসি, গণপূর্ত অধিদফতর, বিটিসিএল, সামাজিক বনায়ন জোন, কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, নির্বাহী প্রকৌশলী দফতর ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের উদ্যোগে মোট ৩১টি স্টল দেয়া হয়। আলোচনাসভা ও সেমিনার শেষে অতিথিবৃন্দ স্টল ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে বিকেল ৫টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী লাল্টু, সাগর দেওয়ান, মনির বাউল, নাজমুল হোসেন ও হিরন উর রশিদ শান্ত। লোকসঙ্গীতের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন সাফা। হিরন উর রশিদ শান্তর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মানিক, ফরিদ, মুক্ত ও হামিদ। মেলায় আজ বুধবার নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের সফলতা উপস্থাপনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১ অক্টোবর মেলায় ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে উন্নয়ন মেলা বিষয় ভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকালে সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে উপজেলা চত্বর হতে শহরে বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা মিলনায়তনে ইউএনও নূরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান আওয়ামী সরকার অতীতের সকল সমস্যা ও জঞ্জাল সরিয়ে দেশকে উন্নয়নের জোয়ারে শামিল করিয়েছেন। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, বিদ্যুত ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সেবা সৃষ্টি বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এখন গ্রামাঞ্চলের মানুষ ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ঘরে বসে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরুল হাফিজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি ও উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ প্রমুখ।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পরিষদ চত্বরে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে এমপি আলী আজগার টগর প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতে কেটে উন্নয়ন মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এবং মেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন দফতরের স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর। বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল হালিম, উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার শ্রী মানিক চন্দ্র মূখার্জী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আবু হাসানুজ্জামান নূপুর, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ফকির আজিজুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূর জাহান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান সরফরাজ উদ্দিন, নাটুদাহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিউল কবির ইউসুফ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হযরত আলী, উপজেলা যুবলীগ নেতা সেলিম উদ্দিন বগা, উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহম্মেদ রিংকু প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যেই এদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সিএ ফয়জুল ইসলাম, নাজির জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবু ও উপজেলা আইসিটি টেকনিশিয়ান খাইরুল কবির দিনার।

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আগামী ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্পকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প ও পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের সহযোগিতায় সোমবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলা-১৫। এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবপ্রসাদ পালের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কোটচাঁদপুর-মহেশপুর থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. নবী নেওয়াজ। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. তাজুল ইসলাম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা খাতুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্ত মুন্সি ফিরোজা সুলতানা, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সরোয়ার ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মীর কাশেম আলী প্রমুখ। আজ বুধবার উন্নয়ন মেলার শেষ দিনে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব আলম তালুকদার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করবেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে নবী নেওয়াজ এমপি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে উন্নয়নের উত্সব পালন করা উচিত। এ দেশের প্রধানমন্ত্রী একদিনে ২৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ এবং বছরের শুরুতে কোমলমতি শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে নজির সৃষ্টি করেন। তার সঠিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তিতে রোল মডেল। এসেছে কৃষি, বিদ্যুত, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ বিভিন্নখাতে অভাবনীয় সাফল্য।

 

selun SAM