হোটেলের দরজা ভেঙে মৃতপ্রায় মধ্যবয়সীকে উদ্ধার করলো পুলিশ

চুয়াডাঙ্গার অন্তুরাজ আবাসিক হোটেলে নাম-ঠিকানা না লিখেই রাখা হচ্ছে লোকজন

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের আবাসিক হোটেলগুলোর মধ্যে কয়েকটিতে যে বোর্ডারের নাম-ঠিকানা রেজিস্টারে তোলা হয় না তার চাক্ষুস প্রমাণ মিলেছে। গতকাল বুধবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গার অন্তুরাজ আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষের দরজা ভেঙে অজ্ঞান এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের মধ্যদিয়ে এ প্রমাণ মেলে। এছাড়াও হোটেলটি সম্পর্কে নানা অভিযোগও উত্থাপন করেছে এলাকার অনেকে।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে নান্টুরাজ সিনেমাহল সংলগ্ন আবাসিক হোটেল অন্তুরাজে নাম-ঠিকানা না লিখেই নারী-পুরুষ রাখা হয়। এ অভিযোগ বিগত দিনে উত্থাপিত হলেও তেমন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। গতকাল সন্ধ্যায় অন্তুরাজ আবাসিক হোটেলের ১০৬ নং কক্ষ থেকে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর তার পরিচয় রেজিস্ট্রারভুক্ত না কারার বিষয়টি হাতেনাতে ধরা পড়ে। জানা যায়, নাটোরের এক ব্যক্তি গত তিন দিন ধরে হোটেলে থাকলেও তার নাম-ঠিকানা রেজিস্ট্রারভুক্ত করা হয়নি। কেনো? শুধুই কি ভ্যাট ফাঁকি? নাকি আড়ালে আছে আরো অনেক রহস্য। জবাব মেলেনি।

জানা গেছে, গতপরশু রাতে মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি একটি ব্যাগ নিয়ে অন্তুরাজ হোটেলে যান। তিনি রাতে থেকে সকালে বাড়ি যাবেন বলে হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়ায় নেন। গতকাল সকাল গড়িয়ে দুপুর পেরিয়ে গেলেও কক্ষের দরজা না খোলায় হোটেলের ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্টদের সন্দেহ হয়। ম্যানেজার কৌশলে গা ঢাকা দিলেও খবর দেন পুলিশে। সন্ধ্যায় শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আবুল খায়ের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হোটেলের দরজা ভেঙে অজ্ঞান অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেয়া হয়। খবর পেয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর জ্ঞান ফিরলেও তিনি তার নাম শাজাহান বলে জানালেও সঠিকভাবে বলতে পারেননি ঠিকানা। কখনো বলেছেন, বাড়ি জীবননগরের বাঁকা গ্রামে, কখনো বলেছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর। পিতার নামটাও মনে করতে পারেননি তিনি। গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।