গার্ডিয়ানকে প্রধানমন্ত্রী : কর্তৃত্ব নয় মানুষের সেবা করছি

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন চলছে- এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়া বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, বিরোধী পক্ষের নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেফতার কিংবা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগও সত্য নয় বলে তিনি মন্তব্য করেছেন। বরং দেশবাসী এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে এবং তিনি জনগণের সেবা করছেন বলে উল্লেখ করেন। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকারটি গতকাল সোমবার প্রকাশিত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের সেবা করাই আমার দায়িত্ব। আমি জনগণের জন্যই রাজনীতি করি, নিজের জন্য নয়। এ দেশের মানুষ এখন গণতন্ত্র উপভোগ করছে। আমি খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান কিংবা শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হবে। এখানকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সক্রিয় রয়েছে। আর জনগণ কেবল তাতে সন্তুষ্টই নয়, উপভোগও করছে। সুতরাং এ কথা বলা যাবে না যে আমি কর্তৃত্ব খাটাচ্ছি। বরং আমি জনগণের সেবা করছি।’

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে রেকর্ডসংখ্যক ব্যক্তিমালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল, পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদপত্র অনুমোদন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কে পরিবর্তন এনেছে? আমি এনেছি।’ তিনি বলেন, এখন আমাদের ৪১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল রয়েছে। পত্রিকা আছে সাত শতাধিক। এসব গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপির প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করেছিলেন। সেখানে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়ে বলেছিলেন, ওই সরকারে বিএনপিকেও একাধিক মন্ত্রণালয় দেয়া হবে। কিন্তু খালেদা জিয়া সেই প্রস্তাবে রাজি হননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত নির্বাচনে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো খালেদা জিয়ার।