আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ঢাকার গাজীপুরের মাওনা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়ার জিয়াউর রহমান রনির (৩০) লাশ গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। গত রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অফিস থেকে সিএনজিযোগে বাসায় ফেরার পথে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চাপা পড়ে রনিসহ অপর একযাত্রী ও সিএনজিচালক ঘটনাস্থলে নিহত হন। পুলিশ সাথে থাকা তার কোম্পানির পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে রনির লাশ শনাক্ত করে গতকাল পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করে। তার লাশ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছুলে স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে।
জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়ার কৃতিসন্তান চুয়াডাঙ্গা মহিলা মাদরাসাপাড়ার সমাজসেবা অধিদফতরের (অব.) প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাজি নজির আহম্মেদের একমাত্র ছেলে জিয়াউর রহমান রনি (৩০)। তিনি দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুর জেলার মাওনাতে নোমান গ্রুপের সাফসান কোম্পানিতে আইটি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (অব.) সহকারী পরিচালক আব্দুল মোতালেব হোসেনের জামাতা। পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ রনির স্ত্রীর নিকট মোবাইলফোনে সড়ক দুর্ঘটনায় রনির নিহতর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নিহত জিয়াউর রহমান রনির স্ত্রী চুয়াডাঙ্গা গাইদঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আছমাউল হোসাইন। গত রাত ১০টায় আন্দুলবাড়িয়া খাঁজা পারেশ সাহেবের রওজার ঈদগা ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে রওজা গোরস্তানে দাফন করা হয়।