আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের আপ প্লাটফরমের শেড নির্মাণ শ্রমিককে মারপিট করে কাজ বন্ধের প্রতিবাদে যুবলীগের পক্ষ থেকে মানববন্ধন

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের আপ প্লাটফরমের শেড নির্মাণ শ্রমিককে মারপিট করে কাজ বন্ধ করে দেয়ার প্রতিবাদে যুবলীগের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম নেতা সাবেক কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সোহেল রানা শাহীন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য সাদেকুর রহমান পলাশ ও তরিকুল ইসলাম টুকুলের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন মাস্টার তৌহিদুল ইসলাম টোকন, পোর্টার আব্দুস সালাম, কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন পিন্টু, পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাহাবুদ্দিন, অর্থ সম্পাদক মুন্না, রোমিও, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম রনি, রয়েল, সুমন, সুরুজ, নাহিদ, লিমন, রেজা, মারুফ, ইমরান, সম্রাট প্রমুখ।

মানববন্ধনকালে বক্তাগণ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে উন্নয়নের যে জোয়ার সৃষ্টি করেছেন, আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের উন্নয়ন তারই অংশ। এ উন্নয়নমূলক কাজে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে, তারা দেশের শত্রু, উন্নয়নের শত্রু হিসেবে পরিগণিত হবে। যারা চাঁদার দাবিতে এ উন্নয়নমূলক কাজের নির্মাণ শ্রমিককে মারধর করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছে তাদের এ ন্যাক্কারজনক কাজের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। বক্তাগণ আরও বলেন, দলের নাম ভাঙিয়ে, হুইপের নাম ভাঙিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে তা মেনে নেয়া হবে না। আলমডাঙ্গার উন্নয়নের জন্য সকলের কাজ করতে হবে। আলমডাঙ্গার উন্নয়নে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা আলমডাঙ্গার মানুষের ভালো চায় না। বক্তাগণ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে সত্বর কাজ শুরু করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এবার কাজের সময় ছাত্রলীগ সব রকম সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ্য, আলমডাঙ্গার রেলস্টেশনের আপ প্লাটফরমে ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১শ ফুট শেড নির্মাণের কাজ পেয়েছে পাকশীর সর্দ্দার অ্যান্ড সন্স নামের একটি ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান। গত রোববার সকালে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কাজ শুরু করা হয়। সে সময় রেলওয়ের প্রকৌশলীসহ ঠিকাদারের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। কাজ শুরু করা হলে কতিপয় যুবক পূর্বে দাবিকৃত দাঁদা না পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে বলে। তাদের নির্দেশ অমান্য করে মিস্ত্রিরা কাজ করতে থাকলে এক পর্যায়ে আলমগীর হোসেন নামের ঠিকাদারের নির্মাণ শ্রমিককে মারপিট করে ওই যুবকেরা। পরে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীসহ সকলেই কাজ বন্ধ করে চলে যান। চাঁদা দাবি সংক্রান্ত বিষয়ে এ কাজ বন্ধ করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

Leave a comment