বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ১৮ মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: বেসিক ব্যাংকে অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় অবশেষে ঢাকার মতিঝিল, গুলশান ও রমনা থানায় মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ১৮টি মামলা দায়ের করে। গুলশান থানায় ৮টি, মতিঝিল ও পল্টন থানায় ৫টি করে মোট ১৮টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় বেসিক ব্যাংকের সাড়ে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় সর্বমোট আসামির সংখ্যা ১৫৩ জন। তবে একাধিক মামলার আসামি রয়েছেন অনেকে। তবে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে বাদ দিয়েই প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, বেশির ভাগ মামলাতেই অভিযুক্ত হয়েছেন ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফখরুল ইসলাম। এছাড়া ১৮টি কোম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ব্যাংকটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অভিযুক্ত হয়েছেন। বেসিক ব্যাংকের ৪টি শাখায় ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় করা প্রথম পর্যায়ের ১৮টি মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুল সোবহান, কনক কুমার পুরকায়স্থ ও এ মুনায়েম খান, ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার এজিএম এসএম আনিসুর রহমান চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী, গুলশান শাখার শাখা ব্যবস্থাপক শিপার আহমেদ, এ শাখার ক্রেডিট ইনচার্জ এসএম জাহিদ হাসান প্রমুখ।

তবে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাইকে বাদ দিয়ে দ্রুত প্রতিবেদন তৈরি করে অনুসন্ধান দল। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন প্রতিবেদনে অর্থ আত্মসাতের জন্য শেখ আবদুল হাই দায়ী এ কথা বলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও ব্যাংকটিতে ‘হরিলুটের’ পেছনে আবদুল হাই জড়িত বলে একাধিকবার উল্লেখ করেন। দুদকের উপপরিচালক প্রনব কুমার জানান, গত কয়েকদিন ধরে অনুসন্ধান দলের সদস্যরা মামলার এজাহার তৈরিতে ব্যস্ত ছিলেন। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের ৫৬টি মামলা অনুমোদন করা হয়েছে। আজ ও কাল বাকি মামলাগুলোও হতে পারে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বেসিক ব্যাংকের ভয়াবহ এ জালিয়াতি ও দুর্নীতির জন্য ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে দায়ী করা হয়।

Leave a comment