দরবেশপুরের মেয়ে পপি চুয়াডাঙ্গার মহিলা কলেজপাড়ায় অবস্থান নিয়ে ছড়ালো চাঞ্চল্য : কৌতূহলীদের মাঝে প্রশ্ন

স্টাফ রিপোর্টার: বয়স বাইশ পেরিয়ে তেইশের কোটায়। নাম পপি। বাড়ি মেহেরপুরের দরবেশপুর। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজপাড়ার একটি বাড়িতে ঢুকে অবস্থান নেন। প্রথমে তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ তোলা হলেও পরে অবশ্য জানা যায়, যে বাড়িতে পপি অবস্থান নিয়েছে ওই বাড়ির মেয়ে সাথীর সাবেক স্বামী দরবেশপুরের শফিকুর রহমান সোনার সাথে পপির রয়েছে পূর্ব পরিচয়।

পূর্ব পরিচয়ের পরই প্রশ্ন ওঠে, পপির কারণেই সাথীর ঘর ভেঙেছে? নাকি সাথীর স্বামীর কারণেই পপি হারিয়েছে মানসিক ভারসাম্য? পপি বলেছে, সাথীর সাবেক স্বামী তাকে ধর্ষণ করে। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে মেহেরপুরের একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত ঘটায়। মামলা করি। সেই মামলায় শফিকুর রহমান সোনা এখন জেলহাজতে। পপি এসব তথ্য দিলেও সাথী অবশ্য কোনো কথাই বলেননি। পপিকে গতকাল বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তার পিতা তক্কেল আলী বাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছেন। এ সময় তক্কেল আলী বলেন, মেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছে। এ কারণে তাকে বন্দি করেই রাখা হয়। সুযোগ পেয়ে সে চুয়াডাঙ্গায় এসেছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা মহিলা কলেজপাড়ার আলাউদ্দীনের মেয়ে অনিতা শারমীন সাথীর সাথে বিয়ে হয় মেহেরপুর দরবেশপুরের শফিকুর রহমান সোনার সাথে। এদের দাম্পত্য বিচ্ছেদ হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গতকাল সকাল ১০টার দিকে দরবেশপুরের মেয়ে পপি খাতুন সাথীর বাড়িতে উঠলে চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রথমে চুরির অভিযোগ উত্থাপন করা হলেও পপির কথা শুনে অনেকেই তার পিতার নিকট খবর দেন। ওর পিতা এসে বাড়ি ফিরিয়ে নেন।

Leave a comment