গাংনীর হামিদ-কাউছার ঘড়িঘর অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা শহরের রিয়াজ উদ্দীন মার্কেটে অবস্থিত হামিদ-কাওছার ঘড়িঘরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ইলেক্ট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল মালামাল ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চৌগাছা গ্রামের কাওছার আহম্মেদ তার দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়িতে যান। এক পর্যায়ে দোকানের মধ্যে আগুন লাগে। আগুনের লেলিহান শিখা দোকানের বাইরে বেরিয়ে আসে। তা দেখে স্থানীয় লোকজন ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একদল কর্মী ঘটনাস্থলে এসে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। ঘন্টাব্যাপী চেষ্টার পর আগুন নেভানো সম্ভব হলেও দোকানের ভেতর থাকা টিভি, ফ্যান, লাইটসহ নতুন-পুরাতন ইলেট্রনিক্স ও ইলেট্রিক্যাল মালামাল এবং আসবাবপত্র ভস্মীভূত হয়। এতে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন দোকান মালিক কাওছার আহম্মেদ।

কাউছার জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কাজ শেষে মেইন সুইচ বন্ধ করে বাড়িতে যান। পরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পারেন। দোকানে বিভিন্ন এলাকার মানুষের টিভি-ফ্যানসহ নানা ধরনের মালামাল ছিলো। দোকানটিই তার একমাত্র সম্বল। গাংনী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত রিয়াজ উদ্দীন মার্কেটের নীচতলায় হামিদ-কাওছার ঘড়িঘর। কাওছার আহম্মেদ ও আব্দুল হামিদ দু ভাই মেকানিকের কাজ করেন। ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি মেরামত ছাড়াও নতুন মালামাল ও পণ্য স্বল্প পরিসরে বিক্রি করে থাকেন। আগুনে পুড়ে যাওয়ার আগে তাদের দোকানের মধ্যে মেরামতের জন্য ছিলো টেলিভিশনসহ অন্যান্য মালামাল। আগুনে মানুষের এসব মালামাল পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি দোকানির নতুন মালামাল ও যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়। রিয়াজ উদ্দীন মার্কেটের নীচ তলায় বিভিন্ন প্রকার দোকান রয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখায় অন্যান্য দোকানের ভেতরের মুদিও মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ফায়ার সার্ভিস তা নেভাতে সক্ষম হয়। ফলে রক্ষা পায় অন্যান্য দোকানের কোটি টাকার মালামাল।

মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সেপেক্টর সেলিম রেজা জানান, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বৈদ্যুতিক লাইলের মেইন সুইচ যদি বন্ধ থাকে তাহলে ভেতরে থাকা ব্যাটারিচালিত বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র থেকেও আগুন লাগতে পারে। দ্রুত আগুন নেভানো না গেলে গোটা মার্কেটে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা ছিলো।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিককে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।