খাইরুজ্জামান সেতু/কামরুজ্জামান বেল্টু: ওজোপাডিকো চুয়াডাঙ্গা অফিসের দাবি বিদ্যুতের ঘাটতি নেই, গ্রিডে ত্রুটির কারণে দফায় দফায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অপরদিকে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে চুয়াডাঙ্গার বিদ্যুত গ্রাহক সাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গ্রাহকদের অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, শুনছি বিদ্যুত উৎপাদন নাকি উপচে যাচ্ছে, অথচ চুয়াডাঙ্গায় ঘুরে ফিরেই দিচ্ছে লোডশেডিং।
ভ্যাপসা গরমে চুয়াডাঙ্গায় গরমজনিত নানা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। ফলে সদর হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিসিন, ফিমেল ও মেল ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুনেরও বেশি রোগী ভর্তি ছিলো। শয্যা দুরস্ত, ঘরের মধ্যে রোগীদের ঠাঁই না হওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় ভিড় জমেছে। টলি তোলা তথা তেলা সিঁড়ির এক পাশেও রোগীদের অবস্থান নিতে দেখা দেছে। হাসপাতালের কর্তব্যর চিকিৎসক বলেছেন, মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে সব বয়সেরই নারী-পুরুষ রোগাক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসা নেয়ার জন্য হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালে যেমন স্থান সঙ্কুলানের সমস্যা, তেমনই সঙ্কট লোকবলের। ফলে চিকিৎসা সেবাদানে সেবিকা ও চিকিৎসকদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। গতকাল ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী ছিলো মোট ৫৪ জন আর মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ছিলো ৪১ জন।
চুয়াডাঙ্গায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৫ দশমিক ২ ও সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ সময় স্বাভাবিক। অথচ ভ্যাপসা গরম কেন? আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভূপরিমণ্ডলের বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতি বেশি হওয়ার কারণেই দেদারছে ঘামতে হচ্ছে। ভ্যাপসা গরমে হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে। মাত্রাতিরিক্ত গরমে ঘামের কারণে বেশি বেশি পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অপরদিকে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে অতিষ্ঠ বিদ্যুতগ্রাহক সাধারণ বিরূপ মন্তব্য করলেও বিদ্যুত অফিসে যোগাযোগ করা হলে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গার সকল ফিডারেই বিদ্যুতের কয়েক দফা লোডশেডিং দিতে হয়েছে। কারণ জাফরপুরের গ্রিড সাবস্টেশনে ট্রিপ করছে।