কৃষি উপসহকারী অফিসার দর্শনার রবিউল কবির পল্লব ও পিএনজির বিক্রয় প্রতিনিধির ব্যাগে মিললো ফেনসিডিল

দর্শনা অফিস/স্টাফ রিপোর্টার: সড়কে বেসামাল হয়ে শেষ পর্যন্ত পিটুনির শিকার হয়েছেন কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা রবিউল কবির পল্লবসহ দুজন। গতকাল সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের হিজলগাড়ি বাজারে সন্দেহজনক আচরণের কারণে ধরা পড়ে পিটুনির শিকার হয়। এদের নিকট থাকা ব্যাগে এক বোতল ফেনসিডিল পাওয়া গেলে জনতা পুলিশে দেয়। দুজনকেই হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ গ্রেফতার করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করে।

রবিউল কবির পল্লব (৪৪) দর্শনা থানাপাড়ার আকবর আলীর ছেলে। পল্লবের সাথে ধরা পড়া সাহেদ আহম্মেদ (৪২) পিএনজি কোম্পানির চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের বিক্রয় প্রতিনিধি। তিনি নিজেকে চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার এলাকার সামী আহম্মেদের ছেলে বলে পরিচয় দিলেও তা নিয়ে বিভ্রান্ত রয়েছে। পুলিশ এ মন্তব্য করে বলেছে, ঠিকানা যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বড়সলুয়া গ্রামের দিক থেকে দ্রুতগতিতে হিজলগাড়ির দিকে ছোটার সময় পথচারীদের অনেকেরই সন্দেহ হয়। এরা একটি ছাগলের সাথে ধাক্কা মেরে বেসামাল হয়ে পড়ে। হিজলগাড়ি তেমাথায় ব্র্যাকের মাঠকর্মী প্রশান্তের মোটরসাইকেলে ধাক্কা মেরে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করে। স্থানীয়রা বাজারেই আটক করে দুজনকে। এরা হলো- রবিউল কবির পল্লব ও সাহেদ আহম্মেদ। পল্লব জানান, তিনি কুষ্টিয়া খোকশায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করতে যাচ্ছিলেন। সাথে থাকা সাহেদ আহম্মেদ শুরু থেকেই বিভ্রান্তকর তথ্য দিতে থাকেন। স্থানীয়দের সন্দেহ ঘনীভূত হয়। শুরু হয় পিটুনি। বড়সলুয়ার সারব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম সেখানে পৌঁছে যখন বলেন, ওই দুজনই আমার লোকশূন্য দোকানে ঢোকার চেস্টা করে। কেন অন্যের দোকানে ঢোকার চেষ্টা? জবাব মেলেনি। পিটুনির মাত্রা বাড়ানোর সাথে সাথে হিজলগাড়ি ফাঁড়ি পুলিশে খবর দেয়া হয়। ওদের নিকট থাকা ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় এক বোতল ফেনসিডিল।

পুলিশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে, আটককৃতরা দর্শনা থানাপাড়ার আকবর আলীর ছেলে কৃষি উপসহকারী অফিসার রবিউল কবির পল্লব (৪৫) ও অপরজন চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার এলাকার সামী আহম্মেদের ছেলে পিএনজি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি সাহেদ আহম্মেদ (৪২)। অভিযোগকারী বড়সলুয়া গ্রামের রবিউল লিখিত কোনো অভিযোগ না করলেও তাদেরকে গতকালই উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন বলেন, বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছে তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।