মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম আনঅফিশিয়াল ওয়ানডে ম্যাচে ৯৬ রানে হারলো বাংলাদেশ ‘এ’ দল। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো স্বাগতিকরা। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাট করতে পাঠায় সফরকারী বাংলাদেশ। ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল সহ টেল এন্ডার তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে বাংলাদেশকে ৩২২ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাবে বাংলাদেশ ২২৬ রানে অলআউট হয়ে যায়।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে। বাংলাদেশকে যখন বড় হারের লজ্জা চোখ রাঙাচ্ছিলো তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন নাসির হোসেন ও লিটন দাস। এই দুই জনের মধ্যে ১২০ রানের জুটি বাংলাদেশকে আবারো স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো। কিন্তু দলীয় ২০৭ রানে নাসির আউট হয়ে যান ৫২ রান করে। কিছুক্ষণ পরে আউট হয়ে যান ৭৫ বলে ৭৫ রান করা লিটন দাসও। দলীয় ২১৯ রানে লিটন আউট হওয়ার পরের তিন উইকেট মিলে আর মাত্র ৭ রান যোগ করতে পারে! ৪২ ওভার তিন বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের গুরকিরাত সিং পাঁচ উইকেট নেন। এর আগে ভারতের পক্ষে ওপেনিং জুটিতে ৩০ বলে ৪৪ রান যোগ করে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। ব্যক্তিগত ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন উন্মুক্ত চাদ। এরপর ৩০ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিলো বাংলাদেশের বোলারদের হাতেই। ২৬ ওভার শেষে ভারত ‘এ’ দলের সংগ্রহে ছিলো ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২৫ রান। কিন্তু এরপর সব হিসেব-নিকেশ পাল্টে দেয় ষষ্ঠ উইকেট জুটি। ওভার প্রতি ৬.৮৭ রান যোগ করে সাঞ্জু স্যামসান ও গুরকিনাথ সিং জুটি ভারতের স্কোর বোর্ডকে ৪০.৩ ওভারে পৌঁছে দেন ২২৭ রানে। এরপর দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামা রিশি ধাওয়ানের ৩৪ বলে ৫৬ রানের উপর ভর করে ৩২২ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। বংলাদেশ ‘এ’ দলের পক্ষে তাসকিন আহমেদ পাঁচ ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৬ রান! শফিউল ১০ ওভারে গড়ে ৬ রান করে মোট দিয়েছে ৬০ রান। রুবেল হোসেন ১০ ওভারে দিয়েছেন ৫৬ রান। এমনকি বাঁ হাতি স্পিনার আরাফাত সানি দিয়েছেন ৫৭ রান! বাংলাদেশের পক্ষে শফিউল ইসলাম এবং নাসির হোসেন সংগ্রহ করেছেন দুই উইকেট। এ ছাড়াও তাসকিন ও আরাফাত সানি সংগ্রহ করেছেন একটি করে উইকেট।