মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গার আইলহাস ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে রাতের আঁধারে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ ৩ সন্তানের জনক আয়ুব আলী। স্কুলছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় উদ্বার হয়েছে। গতকাল বিকেলে বলেশ্বরপুর বাজারে সালিস করে সুরাহা হয়নি। লম্পট আযুবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত রাত সাড়ে ৭টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী (১৩) বাড়ির পাশে অসুস্থজনিত কারণে জনৈক ডাক্তারের কাছে যায়। ডাক্তারের কাছ থেকে ফেরার সময় একই গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে ৩ সন্তানের জনক আয়ুব আলী (৪৫) তাকে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে গতকাল সরজেমিনে গেলে স্কুলছাত্রী ও তার পিতা অভিযোগ করে জানায়, কিছু দিন আগে থেকে বিভিন্ন সময় তাকে আয়ুব আলী কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে গত মঙ্গলবার রাতে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। স্কুলছাত্রীর পিতা আরো জানান, আমি লেখাপড়া জানি না, থানা পুলিশ চিনি না, আমার মেয়ের ওপর নির্যাতনের বিচার চাই। গতকাল বুধবার বিকেলে বলেশ্বরপুর বাজারের যুবলীগের এক নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিচারের দাবি জানিয়ে সালিসের আয়োজন করা হয়। বিচারে কোনো প্রকার সুরাহা না হলে বিচার সালিস স্থগিত রাখা হয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার সাথে স্কুলছাত্রীর বিরোধ রয়েছে। সে জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।