শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল উদ্ধার করে মাদকব্যবসায়ীকে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ওয়ালিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে ফেনসিডিল উদ্ধার করে মাদকব্যবসায়ীকে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে আন্দুলবাড়িয়া বাজারের জনবহুল মিশুকস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ব্যাগভর্তি ফেনসিডিলসহ যাত্রীবেশী এক নারী মাদকচোরাচালানীকে আটক করা হয়। তার নিকট থেকে উদ্ধার করা হয় ফেনসিডিল। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের বোতলের সংখ্যা নিয়ে সাক্ষী ও উপস্থিত জনতার মাঝে দেখা দিয়েছে সন্দেহ।

জানা গেছে, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ওয়ালিয়ার রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে যাত্রীবেশী এক নারী মাদকচোরাচালানীকে আটক করেন। তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় ফেনসিডিল। উপস্থিত জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছে, অসৎ উদ্দেশে উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলের সিজারলিস্ট করা হয়নি। সাক্ষীগণের সামনে ব্যাগও খোলা হয়নি। সাক্ষীরা কেউ ফেনসিডিল দেখেনি। এসআই ওয়ালিয়ার রহমান জনবহুল এলাকা থেকে কৌশলে ফেনসিডিল উদ্ধার করে উদ্ধারকৃত ফেনসিডিলসহ ওই মধ্য বয়সী নারীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। তাকে মোটা অঙ্কের অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। ঘটনার ১ ঘণ্টা পর সাক্ষীগণের শাদাকাগজে সই ও টিপসই করে নেয়। স্বাক্ষরদানকারী আন্দুলবাড়িয়া মণ্ডলপাড়ার শিলং বলছেন, আমি দর্শনায় গাড়ি কিনতে গিয়েছিলাম। ঘটনার সময় ছিলাম না। কতো বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে তা আমি জানি না। দর্শনা থেকে এসে বাজারে বসেছিলাম। ক্যাম্পের দারোগা শাদাকাগজ নিয়ে এসে বললো সই করো, পুলিশ তো তাই সই করে দিলাম। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুনছি উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল ৯১ বোতল। ছেড়ে দেয়া মহিলা মাদকচোরকারবারী জনতাকে বলেছে, ১৯১ বোতল। উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল কি ৯১ বোতল, না ১৯১ বোতল এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সূত্র জানায়, জব্দ তালিকায় উদ্ধারকৃত ফেনসিডিল পরিত্যাক্ত অবস্থায় উদ্ধার দেখানো হয়েছে। এছাড়াও ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ওয়ালিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে আন্দুলবাড়িয়া এলাকার মাদক স্পটগুলো মাসিক চুক্তিতে ইজারা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে শাহাপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই ওয়ালিয়ার রহমানের সাথে যোগাযোগ করে সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৯১ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকজন ৫০ বোতল ফেনসিডিল দাবি করে। তারাই নাখোশ হয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে বলে তিনি দাবি করেন। বিষয়টি তদন্তপূর্বক খতিয়ে দেখার জন্য এলাকাবাসী পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।