দুর্দান্ত দল নিয়েই বাংলাদেশে যাচ্ছি

মাথাভাঙ্গা মনিটর: নেট অনুশীলনের জন্য বের হওয়া ক্যামেরন ব্যানক্রফট তখন রাস্তায়। ফিরতি কল দিতে দেরি করেননি। তখনই পেলেন সুসংবাদ বাংলাদেশ সফরে সুযোগ পেয়েছেন। সব ঠিক থাকলে এ সফরেই টেস্ট অভিষেক হবে ডান হাতি ওপেনারের। নতুন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের নেতৃত্বে প্রায় নতুন চেহারার অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের কন্ডিশনে কেমন খেলবে, সময় বলে দেবে। তবে দুর্দান্ত দল নিয়েই বাংলাদেশে আসছে বলে জানালেন ব্যানক্রফট।

এবার যেন এ নিয়ে কথাটা একটু বেশিই হচ্ছে। একটা রূপান্তরকালীন সময়ের ভেতর দিয়ে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে বলেই বোধ হয়। একের পর এক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অবসর তো আছেই, ডেভিড ওয়ার্নারের চোটের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দুই পেসারের বিশ্রাম। দলে অনেক নতুন মুখ। বাকিরাও টেস্ট ম্যাচের অভিজ্ঞতায় পরিপুষ্ট নন। তবে স্মিথের দলটা তারুণ্য নির্ভর হলেও যথেষ্ট শক্তিশালী বলেই মনে করেন ব্যানক্রফট, সত্যটা হচ্ছে, বাংলাদেশ সফরে আমরা শক্তিশালী দলই পেয়েছি। দলে দারুণ সব ব্যাটসম্যান রয়েছে। আপনি সবই করতে পারবেন যদি দারুণ কিছু করতে তৈরি থাকেন। যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, সেটিই করতে হবে। নেটে সময় দিতে হবে। শতভাগ প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি সুযোগ পান, বুঝতে হবে আপনি তৈরি। গত জুলাইয়ে ভারতে ‘এ’ দলের হয়ে খেলা ১৫০ রানের ইনিংসটি স্কোয়াডে ঠাঁই পেতে বড় সনদ হিসেবেই কাজ করেছে ২২ বছর বয়সী ওপেনারের জন্য। ভারত সফরে দারুণ পারফর্ম করার ব্যাখ্যা হিসেবে বললেন, ‘‘এ’ দলের হয়ে সফরের সময় দারুণ কিছু পরিকল্পনা ছিল। সুইপ শট নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। স্পিনে ভালোভাবে পায়ের ব্যবহার করেছি। স্পিনের বিপক্ষে খুব স্বচ্ছন্দে খেলেছি।’

নিজের দলকে দুর্দান্ত বললেও বাংলাদেশে যে কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে, মানলেন ব্যানক্রফট, এটা চ্যালেঞ্জিং হবে (বাংলাদেশের কন্ডিশনে)। তবে ভালো পরিকল্পনা, নিয়মিত রান করা এবং সেখানে স্বচ্ছন্দে খেলা হবে সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।