স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় ৩ বছর পর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলবেন সাকিব আল হাসান। আরও পেছনে গেলে, গত প্রায় ৭ বছরে খেলবেন মাত্র দ্বিতীয়বার! তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বেশি খুশি ম্যাচটি খুলনায় খেলতে পারছেন বলে। পরিসংখ্যানের আশ্রয় না নিয়ে বলে দেয়াতেও কোনো ঝুঁকি নেই, বাংলাদেশের ব্যস্ততম ক্রিকেটার সাকিব। বাংলাদেশের হয়ে তিন সংস্করণেই তিনি অপরিহার্য নাম। জাতীয় দলের একটি ম্যাচেও বিশ্রাম নেয়ার জো নেই। ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতেও তার কদর অনেক।
মাঠের ক্রিকেটে এতো ব্যস্ত সময়ের মধ্যেই কখনও কখনও ছোবল দেয় চোট। পাশাপাশি অক্লান্ত খেলে যাওয়া শরীরটাকে বিশ্রামও দিতে হয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন যিনি, সেই সাকিবকে বলতে গেলে একদমই পায় না দেশের ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। এখানে সাকিব সবশেষ খেলেন ২০১২ সালের নভেম্বরে, জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার হয়ে রংপুরের বিপক্ষে খেলেছিলেন। সেবার জাতীয় লিগে খেলেন ওই একটি ম্যাচই। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, তার আগে সবশেষ জাতীয় লিগে সাকিব খেলেন ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে!
সব ঠিকঠাক থাকলে এবার জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে শুক্রবার মাঠে নামবেন সাকিব। যে মাঠে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন, খুলনার সেই শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামেই খেলবেন আবার। এবারের প্রতিপক্ষ ঢাকা বিভাগ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৯ বছরের পথচলায় ক্রিকেট বিশ্বের অলিগলি দেখা হয়ে গেছে। জাতীয় লিগে এতদিন পর খেলাও তাই আর বাড়তি রোমাঞ্চ জাগায় না সাকিবের মনে। তবে ভালো লাগছে তার ভেন্যুর কারণে। ঈদের আগে জাতীয় দলের শেষ অনুশীলন ছিলো মঙ্গলবার। শের-ই-বাংলায় অনুশীলন শেষে সাকিব জানান, জাতীয় লিগের ম্যাচটি খেলতে আগ্রহ পাচ্ছেন ভেন্যুর কারণেই। অনেক দিন পর খেলছি জাতীয় লিগ। সত্যি বললে, ঢাকায় বা ফতুল্লায় খেলা হলে হয়তো এতোটা ভালো লাগতো না। খুলনা আমার সবসময়ই ভালো লাগে। খুলনায় খেলতে দারুণ লাগে। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায় থেকেই বাংলাদেশের ভবিষ্যত তারকা হিসেবে পরিচিতি পান সাকিব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ১৯ বছর বয়সেই। দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশও হয়ে ওঠেন খুব দ্রুতই। ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তাই সব মিলিয়েই খুব একটা পায়নি সাকিবকে। ২০০৫ সালের এপ্রিলে জাতীয় লিগে প্রথম খেলেন, কিন্তু এই সাড়ে ১০ বছরে জাতীয় লিগে সব মিলিয়ে ম্যাচ খেলেন মোটে ১৩টি! ২০০৫ সালে তিনটি, ২০০৬ সালে দুটি, ২০০৭ সালে ৬টি, ২০০৮ ও ২০১২ সালে একটি করে। এবারও হয়তো খেলতে পারবেন এ একটি ম্যাচই। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ম্যাচটিকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভাবছেন সাকিব।