গাংনীর বামন্দী গো-হাটে ইজারাদার কামালের ইচ্ছেনুযায়ী খাজনা আদায় বন্ধ হয়নি
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার একমাত্র পশুহাট বামন্দী-নিশিপুর পশুহাটে পশু কেনাবেচায় ইজারাদার কামাল হোসেনের মনগড়া খাজনা আদায় বন্ধ হয়নি। গতকাল সোমবার গরু-ছাগল কেনাবেচায় পূর্বের মতোই স্বেচ্ছাচারিতার ভিত্তিতেই খাজনা আদায় করা হয়েছে। তবে ইজারা নীতিমালা লঙ্ঘন করে খাজনা আদায়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
বামন্দী-নিশিপুর পশুহাটে ইজারাদারের ইচ্ছেনুযায়ী খাজনা আদায়, খাজনা চার্ট না টাঙানো ও রসিদে টাকার পরিমাণ না লেখার বিষয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নজরে পড়ে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে পত্রিকার কাটিংসহ সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত মান্নাকে একটি পত্র প্রদান করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল আমিন জানান, সরকারি নীতিমালার বাইরে কোনো অবস্থায় খাজনা আদায় করতে দেয়া হবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে তার কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই ইজারাদার কামালের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গতকাল সোমবার বামন্দী হাট ঘুরে চোখে পড়ে খাজনা আদায়ের চিরাচরিত সেই দৃশ্য। চৌগাছা গ্রামের আনারুল ইসলাম ১৩ হাজার টাকায় ছাতিয়ান গ্রামের আন্টুর কাছ থেকে একটি ছাগল কেনেন। ইজারাদার কামাল হোসেন খাজনা আদায়ের রসিদ দিয়ে (যার নং ১৭২৪০) ক্রেতার কাছ থেকে ৭১০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে আরো ১২০ টাকা আদায় করেছেন। তবে এবারো পূর্বের ন্যায় রসিদে টাকার পরিমাণ উল্লেখ করেননি ইজারাদার কামাল হোসেন। ক্রেতা আনারুল ইসলাম জানান, হাট ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কী পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা হয় তা জানার সুযোগ নেই। ইজারাদারের স্বেচ্ছাচারিতায় নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। খাজনা আদায়ের নিয়মনীতি জানার কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি। শুধু আনারুল ইসলামই নয় সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও সোমবার নির্ধারিত পশুহাটে এমন হাজারো ক্রেত-বিক্রেতা ইজারাদার কামাল হোসেন ও তার লোকজনের কাছে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। প্রতিবাদ করলেই কপালে জোটে লাঞ্ছনা। তাই দীর্ঘদিন থেকে নীরবেই মনগড়া খাজনা পরিশোধ করে কেনাবেচা চলছে।
এছাড়াও গতকাল পশুহাটে কোরবানির গরু-ছাগল কেনাবেচা হয়। পূর্বের মতোই ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছ থেকে মনগড়া খাজনা আদায় করা হয়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।