স্টাফ রিপোর্টার: নানা আলোচনা ও ধূম্রজালের পর অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে সব গ্রাহকের সিম পুনঃনিবন্ধন করতে হবে না। তবে সবারই তথ্য যাচাই করে দেখবে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। আর এ কাজটি করতে অন্তত দু সপ্তাহ সময় লাগবে। কাদের নিবন্ধন লাগবে বা কি করতে হবে সে সম্পর্কে গ্রাহকদের এসএমএস-এ জানাবে সংশ্লিষ্ট মোবাইলফোন অপারেটর। নির্দেশনা অনুযায়ী কাজগুলো করতে হবে। না করলে সিমকার্ড বন্ধ করে দেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তবে আপাতত কাউকেই কিছু করতে হবে না।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম গতকাল রোববার বলেন, সিম নিবন্ধনের কাজটি তিন ভাগে হবে। প্রথমভাগে- যাদের বৈধ নিবন্ধন আছে তাদের কিছুই করতে হবে না। দ্বিতীয়ভাগে- যাদের একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একাধিক সিম নেয়া আছে তাদের কাছে সংশ্লিষ্ট মোবাইলফোন অপারেটর থেকে এসএমএস দিয়ে জানানো হবে তিনি কোন কোন নম্বরটি রাখতে চান? ওই গ্রাহক ফিরতি এসএমএসে জানিয়ে দেবেন নম্বরগুলো। তাহলেই সেগুলো চূড়ান্ত হবে। আর তৃতীয় ধাপে- যাদের নিবন্ধন বৈধ না বা একেবারেই নিবন্ধন নেই তাদের সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার সেন্টারে গিয়ে নতুন করে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ সিম নিবন্ধন করে নিতে হবে। যারা এই কাজ করবে না তাদের নাম্বারগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে।
নির্বাচন কমিশনের সাথে এখনো মোবাইলফোন অপারেটরদের চুক্তি না হওয়ায় কমিশন থেকে এ সেবা দেয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই মোবাইলফোন অপারেটরদের সাথে নির্বাচন কমিশনের চুক্তি হবে। আর ওই চুক্তি অনুযায়ী মোবাইলফোন অপারেটররা প্রতিটি এনআইডি যাচাইয়ের জন্য নির্বাচন কমিশনকে দু টাকা করে পরিশোধ করবে। ইতোমধ্যে মোবাইলফোন কোম্পানিগুলো তাদের সিম নিবন্ধনের ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রতিমন্ত্রীর অনুরোধে যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। আর এ কাজ করতে তাদের অন্তত দু সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এরপরই সিমের রিপোর্ট অপারেটরদের দেয়া হবে। তারপর মোবাইলফোনে এসএমএস যাবে। এসএমএস যাওয়ার আগ পর্যন্ত কাউকেই কিছু করতে হবে না। দেশের মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে নতুন কৌশল বের করা হয়েছে। এখন অল্প সংখ্যক মানুষকে নিবন্ধন বা পুনঃনিবন্ধনে যেতে হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগসূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধনের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো মোবাইল সিমকার্ড বিক্রির সাথে জড়িত ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদেরও তালিকা তৈরি করতে হবে। ওই তালিকা অনুযায়ী বিক্রেতারাও নিবন্ধিত হবেন। নতুন সিমকার্ড বিক্রির ক্ষেত্রে গ্রাহক নিবন্ধনের সময় বিক্রেতার নাম-ঠিকানাও সংরক্ষণ করতে হবে অপারেটরদের।