মাথাভাঙ্গা মনিটর: অ্যারন ফিঞ্চের অপরাজিত অর্ধশতকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম ও শেষ ওয়ানডেতে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে এ জয়ে মূল অবদান দু পেসার মিচেল মার্শ ও জন হেস্টিংসের। মার্শ ও হেস্টিংসের মারাত্মক বোলিংয়ে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে ১৩৯ রানের ছোট্ট লক্ষ্য পায় অতিথিরা। জবাবে ২৪ ওভার ২ বলে ২ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটের এ জয়ে ৩-২ ব্যবধানে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিশ্চিত করল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম দু ম্যাচ জিতে সহজেই সিরিজ জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলো তারা। কিন্তু পরের দু ম্যাচে জিতে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শূন্য রানেই ফিরে যান জো বার্নস। ৩১ রানে বিদায় নেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও। তবে তার কোনো প্রভাবই দলের ওপর পড়তে দেননি ফিঞ্চ ও জর্জ বেইলি। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সহজ জয় এনে দেন এই দু জন। ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন ফিঞ্চ। তার ৬৪ বলের ইনিংসটি ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো। ৪৫ বলে অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলেন বেইলি। এর আগে ২২ রানের মধ্যে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ে শুরুতেই চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। আলেক্স হেলস ও জেমস টেইলরকে ফিরিয়ে দেন হেস্টিংস। এর আগে জ্যাসন রয়কে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিচেল স্টার্ক। সপ্তম ওভারে স্টার্কের বলে মাথায় আঘাত পেয়ে ওয়েন মর্গ্যান মাঠ ছাড়লে বিপদ আরও বাড়ে ইংল্যান্ডের। পরে আর মাঠেই নামেননি স্বাগতিক দলের অধিনায়ক। মর্গ্যান মাঠ ছাড়ার সময় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২২ রান। সেখান থেকে দলকে দেড়শ রানের কাছাকাছি নেন বেন স্টোকস ও আদিল রশিদ। সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে স্টোকসের ব্যাট থেকে। ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন রশিদ। স্টোকস, রশিদ ছাড়া দু অঙ্কে পৌঁছান কেবল টেইলর (১২) ও মার্ক উড (১৩)। ২৭ রানে চার উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার মার্শ। স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো, মইন আলি ও ডেভিড উইলিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডের মিডল অর্ডার গুড়িয়ে দেন তিনি। হেস্টিংস ৩ উইকেট নেন ২১ রানে।