বান্দরবানে নৌকা ডুবিতে বিজিবি সদস্য জুয়েল নিহত

বেদনাবিধুর পরিবেশে জীবননগর মিনাজপুর গ্রামে দাফন

 

জীবননগর ব্যুরো: বান্দরবানের থানচির সাঙ্গু নদীতে নৌকা ডুবির ঘটনায় নিহত বিজিবি সদস্যর জুয়েল রানাকে তার নানাবাড়ি মিনাজপুর গ্রামে বেদনাবিধুর পরিবেশে দাফন করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে বান্দরবান থেকে হেলিকপ্টারযোগে বিজিবি সদস্য জুয়েল রানার মরদেহ এসে পৌঁছুলে বিকেলে বিজিবির অ্যাম্বুলেন্সযোগে লাশ মিনাজপুর গ্রামে নেয়া হলে তার পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের বজলুর রহমান ও সেলিনা খাতুন দম্পতির ৩ ছেলের মধ্যে জুয়েল রানা সবার বড়। ছোটবেলায় সে তার নানাবাড়ি উপজেলার মিনাজপুর গ্রামে চলে আসে। নানা দাউদ হোসেন ও নানি সলেহার বেগম তার লালনপালন করেন। ২০১১ সালে সালে এসএসসি পাস করার পর জুয়েল রানা বিজিবিতে করপোরাল পদে যোগদান করেন।

বিজিবির অন্য দু সদস্যের সাথে সাঙ্গু নদীতে নৌকাযোগে টহলদানকালে শনিবার নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটলে তার সঙ্গী অপর দু বিজিবি সদস্য প্রাণে বেঁচে গেলেও জুয়েল রানা নিখোঁজ হন। পরে তার লাশ থানচি উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের বড়পাথর এলাকার সাঙ্গু নদীর ডুমরু নামক স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে হেলিকপ্টারযোগে গতকাল রোববার তার লাশ জীবননগর হেলিপোর্টে এসে পৌঁছুলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান ও উপঅধিনায়ক মেজর জাকির হোসেন তার লাশ গ্রহণ করেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদানসহ কফিনে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আ. লতিফ অমল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজাসহ জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা বিজিবি সদস্য এবং স্থানীয়রা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পিতা-মাতার ইচ্ছায় দাফনের জন্য জুয়েলের মরদেহ নানাবাড়ি মিনাজপুর গ্রামে নেয়া হয়। বিকেলে বেদনাবিধুর পরিবেশে তাকে মিনাজপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।