ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মটর সাইকেল চোরচক্র আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই শহর ও বাসাবাড়ি থেকে একের পর এক মোটরসাইকেল চুরি হলেও স্থানীয় প্রশাসনের এ ব্যাপারে কোনো মাথাব্যথা নেই। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ অনেক সময় চুরি মামলা নিতে চায় না। তারা বলে, জিডি করে যান, পুলিশ খোঁজখবর পেলে আপনাদের জানাবে।
এলাকাবাসী জানায়, মোটরসাইকেল চোর আটকের বিষয়ে পুলিশ আন্তরিক নয়। যার কারণে কালীগঞ্জ থেকে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল চুরি হলেও তার একটিও উদ্ধার হয়নি। গত এক সপ্তায় কালীগঞ্জ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে। এছাড়া অনেক মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা থানা পর্যন্ত পৌঁছায় না।
জানা গেছে, শনিবার রাতে উপজেলার কমলাপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম ও আমিরুল ইসলাম নামের দু ভাইয়ের দুটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে তাদের বাড়ির তালা ভেঙে ১৩৫ সিসির একটি ডিসকভার ও ১৫০ সিসির একটি পালসার মোটরসাইকেল চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। এছাড়া গত ৬ সেপ্টেম্বর শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে থেকে উপজেলার গোমরাইল গ্রামের আব্দুস সামাদের এক ব্যক্তির একটি লাল রঙের হিরোহোন্ডা স্পিলিন্ডার (যশোর-হ-১২-০৫১২) মোটরসাইকেল চুরি হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ গাড়ি উদ্ধারে আন্তরিক নয়। বরং বারবার মোবাইলফোনে মোটরসাইকেল মালিককে শহরে এনে তাকে হয়রানি করছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আব্দুস সামাদ জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সকালে ফোন করে আমাকে শহরে আসতে বলেন। আমি আসার পর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ওই কর্মকর্তার নম্বরে ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। পরে তিনি তার দেখা না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যান। গাড়ি চুরির মামলায় পুলিশ তাকে সহযোগিতা না করে মূলত হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন মোটরসাইকেল মালিক আব্দুস সামাদ।