স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন ঈদযাত্রায় জটিলতা এড়াতে পোশাক কারখানাগুলোয় ধাপে ধাপে ছুটি দিতে বলেছে সরকার, যা শুরু হবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর। রোববার ঈদ উপলক্ষে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা যথাসময়ে পরিশোধসহ শিল্পাঞ্চলে সাবির্ক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আনুসঙ্গিক বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। সভাশেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সবাই সিদ্ধান্তে এসেছে, ২১ তারিখ থেকে ক্রমান্বয়ে পোশাক কারখানায় ছুটি শুরু হবে। তবে কোন পোশাক কারখানায় আগে ও কোনটিতে পরে ছুটি হবে, তা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে নিতে বলা হয়েছে। একই সময়ে ঈদে ঘরফেরা মানুষের চাপ যেন পরিবহনখাতের ওপর না পড়ে এজন্য গত কয়েক বছর ধরেই এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এই ব্যবস্থার কারণে গত ঈদে কোথাও কোনো অসুবিধা বা শ্রমিক অসন্তোষের কথা শোনা যায়নি। সভায় বিজিএমইএ, বিকেএমইএসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতা ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ছুটি শুরুর আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ও পাওনা অর্থ পরিশোধ করতে কারখানা মালিকদের বলা হয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঈদে সামনে রেখে পোশাকশিল্প খাতে কোনো অসন্তোষ যেন তৈরি না হয় সে বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শিল্পাঞ্চলগুলোয় সিসি ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক এলাকায় সেটি বসানো হয়েছে। পুরো শিল্পাঞ্চলে বসাতে পারলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অনেক সুবিধা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ঈদে বাড়ি ফেরা নির্বিঘ্ন করতে বরাবরের মতই আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী তৎপর রয়েছে। বিভিন্ন দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় রেকার রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসসহ উদ্ধারবাহিনী সজাগ রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছে। এদিকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে এক প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আসলে অর্থমন্ত্রীর। এটি নিয়ে উনি বলবেন। তবে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর যা বর্তায় তা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলা করা হচ্ছে। তারা যেন গাড়ি ভাংচুর করতে না পারে সে বিষয়টির দিকে দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।