জীবননগর ব্যুরো: গ্রোথ হরমন বা স্টরয়েড জাতীয় বড়ি ও ইনজেকশন ব্যবহার করে অল্প দিনে যারা পশু মোটাতাজা করে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারজাত করছেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। নিরাপদ গো-মাংস নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম। গরু মোটাতাজা করতে ইনজেশকশন পুশ কিংবা বড়ি খাওয়ানোর প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছে ভেটেরিনারি টিম। মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এ ওষুধ পশুর শরীরে ব্যবহারকারী শনাক্ত হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ ওই পশু চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ না করা পর্যন্ত বিক্রির অনুমতি প্রদান করা হবে না। এমন তথ্য জানিয়েছে জীবননগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গরু মোটাতাজা করতে যে গ্রোথ হরমন ও স্টরয়েড জাতীয় ওষুধ এবং ইনজেকশন ব্যবহার করা হয় তা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এমন পশুর মাংস যারা খাবেন তাদের শরীরও ক্রমেই মোটা হতে থাকবে এবং এক সময় তারা রোগে আক্রান্ত হবে। তিনি বলেন, উপজেলা সদরসহ ৬টি ইউনিয়নে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম পরিচালনা করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার এলাকার বৃহত্তম পশুহাট শিয়ালমারীতে মেডিকেল টিম পরিচালনা করা হয়। এ সময় গরু-ছাগলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। পশু মোটাতাজা করতে দেশীয় অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তিনি দেশীয় পদ্ধতি ব্যবহার করার জন্য খামারীদের প্রতি আহ্বান জানান।