হামলা পাল্টা হামলা : আহত ৪ : বাড়ি ঘর ভাঙচুর

চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জে ডিশলাইন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু দল যুবকের সংঘর্ষ

 

স্টাফ রিপোটার: চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জে ডিশলাইন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দু দল যুবকের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর জখম অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ৫টার দিকে বদরগঞ্জের দশমী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রথম দফা হামলার পর সিন্দুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদের উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ কয়েকজন যুবক পাল্টা হামলা চালায়। তারা পাল্টা হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে। তবে ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই বায়েজিদ ঘটনার সময় তার উপস্থিতির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে দশমী গ্রামের মরহুম সবুর আলীর ছেলে বাবু (২৫), বাকের আলীর ছেলে সাইফুল (২৮), মোফাজ্জেলের ছেলে হাসান (২৫) ও হাফিজুলের ছেলে নাইমুল (২৫) বদরগঞ্জবাজারে যাচ্ছিলো। এ সময় দশমী আখ সেন্টারের সামনে একই গ্রামের ভাটার ছেলে উৎপল (২২), হোসেন আলীর ছেলে জামির (২৩), জবেদ আলীর ছেলে রনি (২৬) ও করিমের ছেলে বাবুল (২৫) সম্মিলিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলার পর স্থানীয়রা আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মারাত্মক জখম বাবু ও সাইফুলকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। আহত দুজনের মাথায়, চোয়ালে ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সরোজগঞ্জের ‘হোয়াইট হাউজ নামের একটি সংগঠনের লোকজন। এদের সাথে আগে থেকেই ডিশ লাইনের ব্যবসা নিয়ে বিরোধ ছিলো এবং ডিশ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে হামলাকারীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিলো। পুঞ্জিভূত ক্ষোভের কারণেই এ ঘটনা ঘটে বলে এলাকার অনেকে মনে করেন। চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন জানান, ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা হলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক মজু স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ‘ছাত্রদল নেতা সাইফুল, হাসান, বাবুসহ চার বন্ধু দশমাইল বাজারে আড্ডা দিচ্ছিলো এ সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাদেরকে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করে।’ বিবৃতিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ‘এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছাত্রলীগকে বিরোধী দলের ওপর হামলা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাই। সেই সাথে সরকার ও প্রশাসনের প্রতি শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।’

অপরদিকে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহজাহান খান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ‘ছাত্রদল নেতা সাইফুল ও হাসানসহ নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৮ম কারামুক্তি দিবস অনুষ্ঠানে আসছিলেন। পথিমধ্যে অজ্ঞাত ১০-১২ সন্ত্রাসী সাইফুল, হাসানসহ ৪ জনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে। চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদল এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ঘটনার নিন্দা জানান জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. শরিফুজ্জামান সিজার, যুগ্মআহ্বায়ক ফিরোজ সরকার রোমান, এমএ তালহা, মঞ্জুরুল জাহিদ, শামীম হাসান টুটুল, জাহেদ মোহাম্মদ রাজিব খান, জেড এম তৌফিক, খম ইউসুফ, মো. শাহজাহান খান, মমিনুর রহমান মমিন, সোহেল আহম্মেদ মালিক সুজন ও তানভীর হোসেন।